ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
অপরাজিত থেকেই ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। তাই শিরোপার স্বপ্ন দেখেছিল লাল-সবুজ প্রতিনিধিরা। কিন্তু শনিবার সৌম্য সরকার-নাঈম শেখদের ব্যর্থতায় ঘরের মাঠে পাকিস্তানের কাছে ইমার্জিং এশিয়া কাপের শিরোপা হাতছাড়া হয়েছে স্বাগতিকদের।
শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের কাছে ৭৭ রানে হারে বাংলাদেশ। এদিন আগে টস জিতে বল হাতে ৫০ ওভারে পাকিস্তানের ৬ উইকেট তুলে নিয়ে ৩০১ রানে থামিয়ে দেয় স্বাগতিকরা। সফরকারীদের হয়ে ১১১ বলে ১২ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৩ রান করেন রুহাইল নাজির। জবাব দিতে নেমে ৪৩.৩ ওভারে ২২৪ রানেই গুটিয়ে যায় সৌম্য সরকার-আফিফ হোসেনদের নিয়ে গড়া স্বাগতিক দল।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় শনিবার সৌম্য সরকার শুরুটা করেছিলেন আগ্রাসী। কিন্তু সেটা বেশিক্ষণ চালাতে পারেননি তিনি। দুটি চার ও এক ছয়ে ৬ বলে ১৫ রান করে ফেরেন সাজঘরে। ১৭ বল খেলে ১৬ রানের বেশি করতে পারেননি আরেক বাঁহাতি ওপেনার নাঈম শেখও। তবে ইয়াসির আলি রাব্বির সঙ্গে শান্ত ৫১ রানের জুটিতে আশা দেখিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের এ জুটি ভাঙতেই শুরু হয় সাজঘরে ফেরার মিছিল। ইয়াসির ২২, জাকির হাসান ৯, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৫ রান করে সাজঘরে ফিরলে ম্যাচ থেকেই ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। শেষে আফিফ ও মেহেদী সপ্তম উইকেট জুটিতে ৪৮ রান যোগ করলে দুইশর পথ পাড়ি দেয় স্বাগতিকরা।
মোহাম্মদ হাসনাইন নিয়েছেন ৩ উইকেট। সাইফ বাদার ও খুশদিল শাহ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে শনিবার সকালে বোলিংয়ে শুরুটা দারুণ হয়েছিল বাংলাদেশের। ষষ্ঠ ওভারে প্রথম আঘাত হানেন সুমন খান। ওমর ইউসুফকে (৪) সাজঘরে পাঠান উইকেটরক্ষকের ক্যাচ বানিয়ে। এদিকে সফরকারীদের আরেক ওপেনার হায়দার আলিকে (২৬) ফেরান তিনি নাঈম শেখের ক্যাচ বানিয়ে। তবে তৃতীয় উইকেট জুটি বদলে দেয় পাকিস্তান ইনিংসের চেহারা। রুহাইল ও ইমরান রফিক জুটিতে ১১৭ রান যোগ করলে দেড়শ পেরিয়ে যায় তারা। অফস্পিনার মেহেদী ভাঙেন বিপজ্জনক এ জুটি। সৌম্যর হাতে ক্যাচ তুলে দেন ইমরান। এ বাঁহাতি ৮৮ বলে করে যান ৬২ রান। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছয়। তারপরও পথ হারায়নি পাকিস্তান। চতুর্থ উইকেটেও বড় জুটি গড়ে দলটি। সেঞ্চুরিয়ান রুহাইলের সঙ্গে অধিনায়ক সৌদ শাকিল ৮৫ রান যোগ করলে সংগ্রহ বড় হতে থাকে অতিথি দলের।
শাকিল ৪০ বলে ৪২ রান করে সুমনের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন। ১১৩ রানের ইনিংস খেলা রুহাইল নাজিরকে এলবিডব্লিউ করেন হাসান মাহমুদ। পরে এ পেসার নেন খুশদিল শাহ’র উইকেটও। আউট হওয়ার আগে ১৬ বলে ২৭ করে যান খুশদিল। আহমেদ বাট অপরাজিত থাকেন ১৫ রানে। খেলেন ৭ বল।
সুমন খান তিনটি, হাসান মাহমুদ দুটি ও মেহেদী হাসান নিয়েছেন একটি করে উইকেট। সৌম্য সরকার ১০ ওভারে ৭৬ রান দিয়ে পাননি কোনো উইকেট।
Discussion about this post