ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
দুঃসময় কাটছেই না তার। সদ্য শেষ বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপে মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর হয়ে খেলার কথা ছিল মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের। কিন্তু ফুটবল খেলতে গিয়ে লিগামেন্টের চোট পাওয়ায় শুরু থেকে ছিলেন না। তবে এই বোলিং অলরাউন্ডার লিগ পর্বের শেষ তিন ম্যাচে ছিলেন। এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পুরোপুরি ফিটনেস ফিরে পেতে লড়ছেন ২৪ বছরের এই ডানহাতি পেসার।
বুধবার তিনি মুখোমুখি হলেন গণমাধ্যমের। তার সেই আলাপচারিতা তুলে ধরা হলো এখানে-
ইনজুরির কি অবস্থা?
আমরা যখন টুর্নমেন্ট চলাকালীন বায়ো বাবলে ছিলাম যার কারনে এমআরআইটা করতে পারি নাই। তো এমআরআই যখন টুর্নামেন্ট শেষ হয় করি এখানে লিগামেন্টে কিছু সমস্যা ছিল। আমি অনুভব করছিলাম যে নরমালি ব্যাথা হলে এক সপ্তাহ পর চলে যাওয়ার কথা। তারপর কিছুটা সমস্যা হচ্ছিলো। তো লিগামেন্টের সমস্যা হওয়ার পর এখন যে দেবাশীষ স্যার আছে ফিজিও আছে আমাদের শাওন ভাই, বায়োজিদ ভাই তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। উনাদের প্লান অনুযায়ী আগাচ্ছি আর কি।
লিগামেন্টে কিছু সমস্যা বাকিটা তো আমি জানি না গ্রেড ১ নাকি ২, কিছু আছে নিশ্চয় যার কারণে আমাকে প্রায় তিন সপ্তাহের মতো উনাদের পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে এই টুকুই জানি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলতে পারবেন তো?
হ্যাঁ, আমি আশাবাদী। এরপর আমার কিছু টেস্ট নেবে বোলিং টেস্ট বা রানিং, ফিটনেস ওভারঅল। সবকিছু যদি টিকে যাই তাহলে হয়তো বা ছাড়পত্র পাব।
বারবারই চোটে পড়ছেন। খারাপ লাগে না? দুর্ভাগা মনে হয় নিজেকে?
এটা আসলে অভ্যাস হয়ে গেছে ২০১০ সাল থেকে। যখন আমি আন্ডার ১৫ প্রথম বোর্ডের আন্ডারে কোনো ট্যুর করি। তখনই আমার ব্যাকে সমস্যা ছিল আর সিটি ক্লাব মাঠে একটা অনুশীলন ম্যাচ হয় ওইখানে ড্রাইভ দিতে গিয়ে রিস্টে ফ্রেকচার আমি বুঝতে পারি নাই। তো আমরা যাত্রাতেই আসলে এভাবে কিছু করার নাই। প্রত্যেকটা খেলোয়াড় সমান না যেমন আপনি যদি দেখেন আমাদের রুবেল ভাই মাশাআল্লাহ ১০ বছর ক্রিকেট ক্যারিয়ার উনি খুব বেশি কিন্তু উনি ইনজুরিতে পড়ছে টুকটাক কিন্তু লং টাইমের জন্য উনি বাইরে ছিলেন না। আবার যদি দেখেন মাশরাফি ভাই উনি আবার অনেক ইনজুরিতে পড়ে আবার কামব্যাক করছে আবার ইনজুরিতে পড়ছে। তো আসলে একেকটা প্লেয়ারের রোল বা লাক একেকরকম। আসলে লাকের উপরে তো কারও হাত নাই। আমি যথাযথ চেষ্টা করি নিজেকে ফিট রাখার কিন্তু সম্প্রতি আমি যেটা ইনজুরড হইছি এটা খুবই সিলি খুবই হাস্যকর। ইনজুরি আসলে কারও হাতে থাকে না কন্ট্রোলে থাকে না। তারপরও এসব মানিয়েই আসলে লাইফ। আর একটা জিনিস লাইফে স্ট্রেস না থাকলে লাইফটা মজা নেই। আমি আসলে এটা এনজয় করি।
দেশের মাঠে প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বড় একটা সুযোগ সামনে?
অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো একটা সুযোগ কারণ গত কয়েকবার দেখায় দেশে আয়ারল্যান্ড সিরিজ এবং বিশ্বকাপ সবজায়গায় আমরা ওদেরকে হারিয়েছি ভালোভাবেই। তো আমাতের জন্য এটা একটা চ্যালেঞ্জ যেহেতু ঘরের মাটিতে খেলা তাই আমরা একটা বাড়তি এডভান্টেজ পাব। সবচেয়ে বড় কথা হলো আমরা প্রেসিডেন্টস কাপ, বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপ এ মাঠে খেলেছি বাড়তি সুবিধা থাকবে। তারপরও ক্রিকেট যেদিন যে ভালো খেলবে সেদিন সে জিতবে। তো আমরা আশাবাদী আমরা ফেভারিট।
নিজেকে নিয়ে কি ভাবছেন। আরও উন্নতি করার সুযোগ নিশ্চয়ই আছে…
অবশ্যই, আমি আগে থেকে একটা বলছি একটা কথা প্লেয়ার যখন হইছি এক্সট্রাঅর্ডিনারি হতে হবে। এভারেজ বা নরমাল কোনো প্লেয়ার হলে এক দুই বছর স্ট্রাগল করতে পারব তারপর হয়তো পারব না। সেটা ঘরোয়া হোক আর আন্তর্জাতিক হোক। আমি নিজেকে ওইভাবে তৈরি করি বা চেষ্টা করি। আমি চাইলেই এখন প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক বা আরও যারা আছে বুমরাহ যারা আছে ১৪০-১৪৫ কিমি পারব না। কারণ আমরা জাতিগতভাবে ওত শক্তিশালী না প্লাস উচ্চতা বা গঠনেও ওইরকম না। তো চেষ্টা করি আমি আমার ১৩০-১৩২-১৩৫ এই পেসের ভেতরে যতটা ভ্যারিয়েশন আনা যায় নতুন বলে হোক, স্লগে হোক সবসময়। অনেক সময় সফল হই, অনেক সময় হই না। কিন্তু আমার চেষ্টা থাকে সব সময়।
Discussion about this post