বিশ্বরেকর্ড গড়া দুরে থাক, সারাটা দিন ব্যাট করার মিশনই ঠিকমতো করা হল না। চার বিরতির আগেই শেষ বাংলাদেশ। সোমবার হায়দ্রাবাদ টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে টাইগাররা ২য় ইনিংসে ১০৩.৩ ওভারে ২৫০ রানে অলআউট। ২০৮ রানে ঐতিহাসিক স্বীকৃতি পাওয়া টেস্ট ম্যাচটি জিতে নিল ভারত।
দিনের খেলা ২৪.৩ ওভার বাকী থাকতে অলআউট হয়ে গেল দল। আক্ষেপ তো থাকবেই।
ভারতে মাটিতে প্রথম টেস্ট খেলতে নেমে টস হারে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৬ উইকেট হারিয়ে ৬৮৭ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে ১ম ইনিংস ঘোষণা করে। এরপর ১ম ইনিংসে ১২৭.৫ ওভারে ৩৮৮ রান তুলে অলআউট মুশফিকের দল। ফলো-অন না করিয়ে বিরাট কোহলির দল ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান তুলে ২য় ইনিংস ঘোষণা করে। যে কারণে ৪৫৯ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়। তার সামনে আত্মসমর্পনই করল বাংলাদেশ।
সোমবার শেষ দিনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একটু লড়লেন। অন্যরা ব্যর্থ। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অর্ধশতকের পর পরের ১০ ইনিংসে ব্যর্থ। এবার ১১৫ বলে অর্ধশতক তুলেন। তবে দলকে ঠিক পথে রাখতে পারেন নি। ৬৪ রানে আউট। তার বিদায়েই হার নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
ভারতে এই টেস্টে প্রাপ্তি তেমন কিছুই নেই। শুধু মুশফিকের ব্যাটে দারুণ একটা শতরান এসেছে। এই ধাক্কা সামলে বাংলাদেশ এখন শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য প্রস্তুত হবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর –
ভারত ১ম ইনিংস : ১৬৬ ওভারে ৬৮৭/৬ ইনিংস ঘোষণা (রাহুল ২, বিজয় ১০৮, পুজারা ৮৩, কোহলি ২০৪, রাহানে ৮২, ঋদ্ধিমান ১০৬*, অশ্বিন ৩৪, জাদেজা ৬০*; তাসকিন ১/১২৭, রাব্বি ০/১০০, সৌম্য ০/৪, মিরাজ ২/১৬৫, সাকিব ০/১০৪, তাইজুল ৩/১৫৬, সাব্বির ০/১০, মাহমুদুউল্লাহ ০/১৬)। এবং ভারত ২য় ইনিংস : ১৫৯/৪ ইনিংস ঘোষণা (পুজারা ৫৪, কোহলি ৩৮, রাহানে ২৮; তাসকিন ২/৪৩, সাকিব ২/৫০)
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ১২৭.৫ ওভারে ৩৮৮/১০ (তামিম ২৪, সৌম্য ১৫, মুমিনুল ১২, মাহমুদউল্লাহ ২৮, সাকিব ৮২, মুশফিক ১২৭, সাব্বির ১৬, মিরাজ ৫১, তাইজুল ১০, তাসকিন ৮; ভুবনেশ্বর ১/৫২, ইশান্ত ১/৬৯, অশ্বিন ২/৯৮, যাদব ৩/৮৪, জাদেজা ২/৭০) এবং বাংলাদেশ ২য় ইনিংস ১০৩.৩ ওভারে ২৫০/১০ (সৌম্য ৪২, মুমিনুল ২৭, মাহমুদউল্লাহ ৬৪, সাকিব ২২, মুশফিক ২৩, সাব্বির ২২,মেহেদী ২৩; অশ্বিন ৪/৭৩, জাদেজা ৪/৭৮, ইশান্ত ২/৪০)
ফল: ভারত ২০৮ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: বিরাট কোহলি।
Discussion about this post