ক্রিকবিডি২৪.রিপোট
অনেকদিন ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু দেশের টানে হবে হবে করেও নিজের সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি মাশরাফি বিন মর্তুজা। এরইমধ্যেই আবার গেল বিশ্বকাপের মাঝপথে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন জানিয়ে দেন ম্যাশের বিদায় দেশের মাটিতে দেয়া হবে ঘটা করে। শেষ পর্যন্ত সেটা করতেই দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি চেষ্টা করে যাচ্ছে। বলা যায় তারা একরকম তৈরিও।
মাশরাফিকে ঘরের মাঠে বিদায় জানাতে এরইমধ্যে বিসিবি আমন্ত্রণ জানিয়েছে জিম্বাবুয়ে। সব কিছু ঠিক থাকলে দলটি ঢাকায় এসে পৌঁছাবে আগামী মাসের শেষ দিকে অথবা অক্টোবরের প্রথম দিকে। গতকাল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বেশ আস্থা ও দৃঢ়তার সাথে জানিয়েছেন জিম্বাবুয়ে আসবে। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা তাদের বাংলাদেশের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে খেলতে আসায় কোন বাধা হবে না। এ ব্যাপারে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ড তাদের সরকারের সঙ্গে কথা বলছে। কালও জানিয়েছে যে তারা ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে। দু-এক দিনের মধ্যে এটা নিয়ে চূড়ান্ত কিছু জানা যাবে।’
জিম্বাবুয়ে কবে আসবে ব্যাপারটি নিজাম উদ্দীন চৌধুরী খোলসা না করতে পারলেও বিসিবির একটি সুত্র থেকে জানা গেছে, আগামঅ ৭ থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আসতে পারে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলের ব্যস্ততা শুরু হবে ঈদের পরপরই। সে হিসেবে আগামী মাসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টটি শুরু হওয়ার কথা টাইগারদের। এ পর্যন্ত ঠিক আছে। এরপর বাংলাদেশ, আফগানিস্তান আর জিম্বাবুয়েকে নিয়ে একটি তিন জাতি টি-টোয়েন্টি সিরিজও অনুষ্ঠিত হবে। সেই ত্রিদেশীয় সিরিজের সম্ভাব্য সময় সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়। আর ঠিক এরপরই জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ২ বা ৩ ম্যাচের একটি ওয়ানডে সিরিজ আয়োজনের চিন্তা ভাবনা করছে বিসিবি। এবং ইতোমধ্যেই সংস্থাটির পক্ষ থেকে জিম্বাবুয়েকে এই ওয়ানডে সিরিজ খেলার প্রস্তাবও দেয়া হয়েছে। এজন্য দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি প্রতিপক্ষ দেশকে দিতে চাই কোটি টাকাও।
বাংলাদেশ দলের সফল অধিনায়ক মাশরাফি। তার বিদায়টা কেন জিম্বাবুয়ের মতো দলের সঙ্গে খেলে দিতে হবে। হয়তো এমন প্রশ্ন এখন উঠতে পারে ভক্তদের। অবশ্য তার আগেই ব্যাপারটি খোলসা করছেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী, ‘একটা সময় বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনামূলক বেশি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলত জিম্বাবুয়ে। আমাদের অনুরোধে জিম্বাবুয়েই বেশি হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন আমরাও তাদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। এবারও আমরা যেমন ওদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। আসবে কি আসবে না, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেটা তারাই জানিয়ে দিক। আমরা কিছু বলতে চাই না।’
Discussion about this post