বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) কোয়ালিফায়ার রাউন্ড আগেই নিশ্চিত হয়েছে আগেই। কিন্তু কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে মঙ্গলবারের জয়টি খুব করেই দরকার ছিল খুলনা টাইটানন্সের। কেননা, এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের সেরা দুইয়ে থাকার আশা বেঁচে থাকলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের।
মিরপুরের শেরেববাংলায় শেষের দিকে খুলনার হয়ে বিস্ফোরক ব্যাটিং করেন আরিফুল হক ও কার্লোস ব্রাথওয়েট। আর পুরো ইনিংসে কুমিল্লাকে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে রাখে টাইটানস বোলাররা। এ দুই মিলিয়েই ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৪ রান করেও খুলনা প্রতিপক্ষকে আটকে দেয় ১৬০ রানে। ফলস্বরূপ ১৪ রানের জয় নিয়ে টেবিলের সেরা দুইয়ে থেকে কোয়ালিফায়ারে উঠার পথ প্রশ্বস্ত হল।
কুমিল্লার বিপক্ষে ১৪ রানেও জিতেও পয়েন্ট টেবিলে দুইয়ে থাকাটা নিশ্চিত নয় খুলনার। আজ শেষ ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটস জিতলে তাদের পয়েন্টও হবে ১৫। রান রেট ভালো থাকায় সেরা দুইয়ে থাকবে বিপিএল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। যদি দলটি হেরে যায় তাহলে দুইয়েই থাকবে খুলনা।
১৭৫ রান তাড়া করতে যেয়ে শুরুতেই হোঁচট খায় কুমিল্লা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই মাহমুদউলশ্চাহ রিয়াদ ফিরিয়ে দেন বিপিএল অভিষিক্ত সলোমন মিরেকে। তবে তামিম ইকবাল ও ইমরুল খেলছিলেন দারুণ। দ্বিতীয় উইকেটে তাদের ৬৩ রানের জয়ের স্বপ্নই দেখাচ্ছিলো দলটিকে। কিন্তু ৪ রানের ব্যবধানেই ব্রাথওয়েট ও হাওয়েল উভয় ব্যাটসম্যান ফেরান সাজঘরে। তাদের আশা টিকিয়ে রেখেছিলেন শোয়েব মালিক। কিন্তু ৩ ছক্কায় ২৩ বলে ৩৬ রান করে স্বদেশি ইনফানের বলে তিনি ফিরে যান সাজঘরে। তাতেই মূখ থুবড়ে পড়ে দলটি। শেষ দিকে রকিবুল হাসানের ৯ বলে ১৭ ও মারলন স্যামুয়েলসের ১৬ বলে ২৫ রান শুধু পরাজয়ের ব্যবধান কমায়।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
খুলনা টাইটান্স: ২০ ওভারে ১৭৪/৬ (শান্ত ৩৭, ক্লিঙ্গার ২৯, মাহমুদউল্লাহ ২৩, পুরান ৮, আরিফুল ৩৫, ব্র্যাথওয়েট ২২, হাওয়েল ৯*; মেহেদি ০/৩২, মালিক ১/২৫, আল আমিন ৩/৫২, ক্রেমার ০/২৩, রানা ০/৩৬, মিরে ১/৪)।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ২০ ওভারে ১৬০/৭ (তামিম ৩৬, মিরে ০, ইমরুল ২০, বাটলার ১১, মালিক ৩৬, স্যামুয়েলস ২৫*, রকিবুল ১৭, রানা ১*; মাহমুদউল্লাহ ১/২২, আবু জায়েদ ২/৩৫, আফিফ ০/১৯, হাওয়েল ২/৩২, ব্র্যাথওয়েট ১/১৫, ইরফান ১/২৬)।
ফল: খুলনা টাইটান্স ১৪ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: আরিফুল হক
Discussion about this post