কন্ডিশনিং ক্যাম্পের জন্য এরইমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে উড়ে গেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের একটি অংশ। বাকীরাও শনিবার ধরবেন ক্যাঙ্গারুদের দেশের পথ। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে ২ টেস্ট, তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি খেলতে টাইগাররা। তার আগে শেষ ধাপে শনিবার দেশ ছাড়বেন মাশরাফি-সাকিবরা। তার আগে শুক্রবার রঙীন পোশাকের অধিনায়ক মাশরাফি মুখোমুখি হলেন সংবাদ মাধ্যমের। কথা বললেন সিরিজ ও অন্য প্রসঙ্গ নিয়ে। তারই কিছু অংশ তুলে ধরা হল পাঠকদের জন্য-
অনেক দিন পর দেশের বাইরে খেলতে যাচ্ছেন?
সত্যিকার অর্থে, আমরা শেষ বছর বেশিরভাগ সব ম্যাচই হোমে খেলেছি। অনেক ম্যাচও আমরা জিতেছি। আমরা এক-দুই-দেড় বছর আগে যে টার্গেট করেছি, হোমে অ্যাটলিস্ট ৮০ ভাগ ম্যাচ জেতা। আল্লাহর রহমতে আমরা সে জায়গায় সফলতা পেয়েছি। এখন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ যে হোমের বাইরে গিয়ে খেলা। আপনারা জানেন যে এটা চ্যালেঞ্জিং। অনেক প্রতিষ্ঠিত দলের জন্যও এটা চ্যালেঞ্জিং। সেক্ষেত্রে আমাদের জন্য আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং। আর নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়া অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার থেকে ভিন্ন। মনে করি একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে আসছে।
প্রস্তুতি ক্যাম্প বসছে অস্ট্রেলিয়ায়। এটা কেমন উপকারে আসবে?
অস্ট্রেলিয়ায় ক্যাম্প বেশ উপকার হবে। পুরো একটা টিম থাকব পরিবারের মতো। সবাই সবার সঙ্গে থাকব। একসঙ্গে অনুশীলন হবে। কার কি সমস্যা হচ্ছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা। সবাইকে একসঙ্গে পাওয়া যাবে। সমস্যাগুলো শেয়ার করা যাবে। ভালো জিনিসগুলো আলোচনা হবে। এটা কাজ করতে সুবিধা করবে। ২০১৫ সালের আগে ১৫ দিনের একটা ক্যাম্প হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়। ওটা কিন্তু আমাদের কাজে দিয়েছে। অনুশীলন ম্যাচ একটাই কিন্তু আমরা হেরেছিলাম। আমাদের জন্য এটা কাজ করেছে। এটাও কাজ করবে। যদি কন্ডিশন ভিন্ন। কাজ করবে।
শহীদ এবং শফিউল ইনজুরিতে পড়লেন। এটা পুষিয়ে নেয়া যাবে?
ইনজুরি দলের জন্য সবসময়ই খারাপ। আমরা এখন প্রায়ই শুনি যে আমাদের ব্যাকআপ প্লেয়ার এখন অনেক। কিন্তু আমি ব্যাকআপ প্লেয়ার দেখি না। আমার চোখে ব্যাকআপ প্লেয়ার নেই। কারণ আপনি যদি সাকিবের সঙ্গে কাউকে রিপ্লেস করতে চান, প্লেয়ার নাই। তামিমের রিপ্লেস করতে গেলে কঠিন। শফিউল অবশ্যই অনেক ভালো ফর্মে ছিলো। এটা অবশ্যই আমি মনে করি আমাদের জন্য অনেক খারাপ এবং পার্টিউকুলার প্লেয়ারের জন্যও অনেক খারাপ। তো আমাদের আস্তে আস্তে ব্যাকআপ প্লেয়ার তৈরি হচ্ছে, সো ওই লেভেলে আসতে একটু সময় লাগবে। এই মোমেন্টে তাদের ইনজুরিগুলো অবশ্যই প্রভাব ফেলে। মুস্তাফিজকে যদি দেখেন তাকে ইংল্যান্ড সিরিজে আমরা ইনজুরির কারণে পাইনি।কিছু না কিছু ক্ষতি হয়েছে। আমরা হয়তো দুইটা টেস্টই জিততে পারতাম তাকে পেলে। হয়তো বা ওয়ানডে সিরিজটিও জিততে পারতাম।
সাকিবের শতভাগ দিতে না পারা ও সৌম্য সরকারের অফফর্ম নিয়ে কি বলবেন?
সত্যি কথা বলতে কি, সাকিব ওয়ার্ল্ড ক্রিকেটের টপ লেভেলের ক্রিকেটার, এটা নিয়ে কোন ডাউট নেই। ওর মতো ক্রিকেটারের কাছে যেটা হয়, সবসবময় টপ লেভেলের পারফরম্যান্সের এক্সপেক্টেশন থাকে। কিন্তু সবসময় ওই লেভেলের পারফর্ম করা কঠিন। সবধরণের প্রেশারই ওর ওপর থাকে। তাছাড়া এখন একটা দলের ক্যাপ্টেন্সি করছে। বিগ টিম অর্থাৎ, বিপিএলের সবথেকে বড় টিমের ক্যাপ্টেন্সি করছে। সেটার রেজাল্ট নিয়ে একটা প্রেশার। সো, ওই জায়গা থেকে সাকিবের উপর যে এক্সপ্টেক্টেশন্স থাকে, সে হিসেবে সবসময় ওই লেভেলের পারফর্ম করাটা বেশ কঠিন। বাট ও সবসময় নিজেকে প্রুভ করেছে, রাইট টাইমে প্রুভ করেছে। আর সৌম্য সরকার ও লাস্ট দেড়বছর ওভারে রান করতে পারেনি। কোন ফরম্যাটেই হয়তো বা রান করতে পারেনি। কিন্তু একটা বড় রান বা বড় ইনিংস ওকে চেঞ্জ করে দিতে পারে।
Discussion about this post