সৌম্য সরকার
যে কোনো ওয়ার্ল্ডকাপই একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একটা প্লেয়ার হিসেবে বিশ্বকাপ খেলাতা আমাদের সবারই স্বপ্ন। যেভাবে প্রথম ওয়ার্ল্ডকাপ খেলেছিলাম ২০১৫ সালে সেম এক্সাইটমেন্ট কাজ করবে এবারও। চেষ্টা করব ২০২৪ সালটা যেন আমার জন্য স্মরণীয় থাকে, ভাল কিছু করতে পারি আর টিমকে ভাল কিছু একটা উপহার দিতে পারি।
গত শ্রীলঙ্কা সিরিজ শান্তর সাথে খেলেছিলাম, যেভাবে ওকে মাঠের মধ্যে দেখেছি আমি ইম্প্রেস। সে টিমকে সবসময় একত্রিত রাখার চেষ্টা করছে এবং রাখছেও। আমি আশা করি সবকিছু একত্রিত করে টিমকে সামনে নিয়ে আসতে পারবে সে। আমার পক্ষ থেকে গুডলাক। আশা করি ক্যাপ্টেন্সির মধ্য দিয়ে একটা সে নতুন কিছু বাংলাদেশকে উপহার দিবে।
একজন ব্যাটারের রানটাই ইম্পরট্যান্ট। সে যেখানেই রান করুক সেটা তার কনফিডেন্ট বিল্ডাপ করে। রান না করলে কখনোই একটা ব্যাটারের কনফিডেন্ট বিল্ডাপ হয় না। সো এটা অবশ্যই মেন্টালি সাপোর্ট করবে। পাশাপাশি আমেরিকাতেও আমাদের সবার ওইভাবে অভিজ্ঞতা নাই খেলার। যে মাঠগুলাতে আমরা খেলব সেখানে খেলারও অভিজ্ঞতা নাই। যত দ্রুত আমরা সে জায়গাতে কোপ-আপ করতে পারব তাতেই আমাদের সবার জন্য ভাল হবে।
নাজমুল হোসেন শান্ত নিউ ক্যাপ্টেন, আমাদের সাথে অভিজ্ঞ সাকিব ভাই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাইরা আছেন। আমরাও যারা অনেকদিন ধরে খেলছি তারাও আছি। সবকিছু মিলিয়ে যদি সবার এক্সপেরিয়েন্সটা নিয়ে মিলিতভাব খেলতে পারি তাহলে একটা ভাল টুর্নামেট আমরা উপহার দিতে পারব।
আমি সবসময় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখি। আমি ড্রিম বড় জায়গায় দেখতে পছন্দ করি। তো আমার টার্গেট, কেউ যদি বলে সেমিফাইনাল, না আমি বলি আমরা ফাইনাল খেলতেই যাব। রেজাল্টের কথা তো পরে আসবে। আমরা মাঠে ভাল খেলব না খারাপ খেলব তার উপর ডিপেন্ড করে। কিন্তু স্বপ্ন বড় দেখাটা সবচেয়ে ইম্পরট্যান্ট বিষয়।
খেলার তো আপস এন্ড ডাউন থাকেই হার জিত থাকেই, সবকিছু মিলিয়ে দর্শক সমর্থকরা যেন তাদের দিক থেকে এটাকে উৎসবের হিসেবে নেয় এবং আমরা প্লেয়াররা আমাদের বেস্টটা দিব। চেষ্টা করব বেস্টটা দেওয়ার আর তার মধ্য থেকেই যেন তারা খুঁজে নিতে পারে। আগের দুইটা ওয়ার্ল্ডকাপে ভাল কিছু করিনাই, তাই ২০২৪ তা স্মরণীয় করে রাখতে চাই।
# বিসিবির গ্রিন-রেড স্টোরি থেকে নেওয়া
Discussion about this post