দলের সবচেয়ে পরিশ্রমী ক্রিকেটার তিনি। ছুটির দিনেও ছুটে যান মাঠে। এমন পরিশ্রমের সাফল্যটাও পান মুশফিকুর রহিম। ধারাবাহিকভাবে সাফল্য পাওয়া ক্রিকেটারের একজন এই ব্যাটসম্যান। ফের কথা বলল মুশফিকের ব্যাট। রোববার মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দাপট দেখালেন জাতীয় দলের এই তারকা।
দলের বিপদে মাথা উঁচু করে ব্যাট করলেন তিনি। নিজেকে উজাড় করে দিলেন। মনে হচ্ছিল শতরান বুঝি পেয়ে যাবেন। কিন্তু কাছে গিয়েও হলো না। লঙ্কানদের বিপক্ষে ৮৭ বলে খেলেন ৮৪ রানের দারুণ এক ইনিংস।
৪ চার ও ১ ছক্কা- বাউন্ডারিতে তুলেন ২২ রান। বাকি ৬২ রান সিঙ্গেলস ও ডাবলসে। মানে মনোযোগ ছিল প্রতিটি বলেই। এতো কম বাউন্ডারি নিয়েও কীভাবে স্ট্রাইকরেট ৯৬.৫৫? মুশফিক বলেন নিজের সামর্থ্য ব্যবহার করেই এই অর্জন।
মুশফিক নিজের সীমাবদ্ধতার কথা জানেন। তিনি বলেন, ‘দেখুন, আমি বড় গড়নের মানুষ নই। খুব সহজে বাউন্ডারি মারতে পারি না। আমি পোলার্ড (কাইরন পোলার্ড) কিংবা রাসেল (আন্দ্রে রাসেল) নই। আমি নিজের শক্তির জায়গায় থাকার চেষ্টা করি সব সময়। আমাকে কন্ডিশনও খুব বেশি বাউন্ডারি মারার সুযোগ দেয়নি। আমি তাই সময় নিয়েছি, ধীরে ধীরে রান বাড়িয়েছি।’
রোববার এই সাফল্য তুলে সর্তীথদেরও ভুললেন না মুশফিক। এই তারকা ক্রিকেটার বলেন, ‘আমাকে একটা প্রান্ত নিরাপদ রাখতেও হতো। সেটা আমি করেছি। রিয়াদ ভাইও সঙ্গ দিয়েছেন আমাকে। আফিফ ও সাইফের ফিনিশং টাচ ছিল দুর্দান্ত। সব মিলিয়ে এই সাফল্য।’
দলীয় ৪৩ রানে লিটন দাস ও সাকিব আল হাসান আউট হলে হাল ধরেন মুশফিক। মেষ পর্যন্ত দলের রান নিয়ে যান দুইশ ছাড়িয়ে। বুঝিয়ে দেন অভিজ্ঞতার মূল্য আছে।
Discussion about this post