ব্যাট-বল দুটোতেই রীতিমতো ঝড় তুললেন শহিদ আফ্রিদি। তাতেই রোববার কুপোকাত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গায়ানায় অনুষ্ঠিত ওয়ানডে ম্যাচে ব্যাট হাতে ৫ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৫ বলে ৭৬ রান করে আফ্রিদি বুঝিয়ে দিলেন তিনি আগের মতোই ভয়ংকর। বুম বুম আফ্রিদি! বল হাতে অবশ্য আরো বিধ্বংসী হয়ে উঠেন তিনি। মাত্র ১২ রান দিয়ে তুলে নেন ৭ উইকেট। ৯-৩-১২-৭! একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে এটি দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার। ৮ ওভারে ৩ মেডেনসহ ১৯ রান দিয়ে ৮ উইকেট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কার চামিন্ডা ভাস। ২০০১ সালের ৮ ডিসেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে কলম্বোতে এই রেকর্ড গড়েন তিনি।
আফ্রিদির ক্যারিয়ারসেরা ওয়ানডে বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলআউট হয়ে যায় মাত্র ৯৮ রানে। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে তুলে ২২৪ রান।
আফ্রিদির চোখ ধাধানো অলরাউন্ড নৈপুন্যে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তান জিতেছে অনায়াসে, ১২৬ রানে।
ম্যাচে হ্যাটট্রিক করার সুযোগ এসেছিল আফ্রিদির সামনে। ২৩তম ওভারেরর প্রথম বলে আউট করেন লেন্ডল সিমন্সকে। পরের বলেই তুলে নেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক ডোয়াইন ব্রাভোর উইকেট। তবে তৃতীয় বলে কাইরন পোলার্ডকে আউট করা হয়নি।
ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি ও ৫ উইকেটের রেকর্ড স্পর্শ করলেন তিনি। ম্যাচসেরা আফ্রিদি ছাড়া আবার কে?
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ২২৪/৯ (আফ্রিদি ৭৬, মিসবাহ ৫২, উমর আকমল ১৯, আজমল ১৫* ;হোল্ডার ১৩/৪, রোচ ২/৩৮, ডুয়াইন ২/৫২)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪১ ওভারে ৯৮/১০ (স্যামুয়েলস ২৫, স্যামি ২১*, নারাইন ১৪, সিমন্স ১০; আফ্রিদি ৭/১২, ইরফান ২/১৭)
ফল: পাকিস্তান ১২৬ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: শহীদ আফ্রিদি
Discussion about this post