শুরুতে ব্যাট হাতে লিটন কুমার দাসের দাপট। এরপর বল হাতে নাসুম আহমেদে ঘূর্ণি বলের যাদু। দুইয়ে মিলে অনায়াস জয়। আফগানিস্তানকে ৬১ রানে হারিয়ে টি-টুয়েন্টি সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ দল।
মিরপুরের শেরেবাংলায় বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করে ১৫৫ রান। জবাব দিতে নেমে মাত্র ৯৪ রানে আফগানদের অলআউট করে টাইগার বোলাররা। হেসে-খেলে ম্যাচ জিতে নেয় স্বাগতিকরা। দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল দল। শনিবার সিরিজের শেষ ম্যাচ।
দেশের মাঠে টি-টুয়েন্টিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় এটিই। আগেরটি ছিল গত বছরের আগষ্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬০ রানের।
দুপুরে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। লিটন দাস করেন ৬০ রান। দল তুলে ১৫৫। তারপরই নাসুম আহমেদের অসাধারণ বোলিং। এই স্পিনার ১০ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন।
ম্যাচের সেরা নাসুম। ৭ মাস ও ৬ ম্যাচের ব্যবধানে বল হাতে আবারও ক্যারিয়ার-সেরা বোলিং পারফরম্যান্স করলেন এই স্পিনার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০ রান খরচ করে ৪ উইকেট তুলে নেন। হয়েছেন ম্যাচসেরা। সাত মাস আগে এই মিরপুরেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন নাসুম।
এদিন রঙিন জার্সিতে সাকিব স্পর্শ করেন একটি মাইলফলক। সাদা বলে নেন ৪০০তম উইকেট। প্রায় ১৫ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৫৯ টেস্ট ও ২১৮ ওয়ানডে খেলে সাকিব নেন ২১৫ ও ২৮২ উইকেট। ৯৫তম টি-টুয়েন্টি খেলছেন সাকিব।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১৫১/৮ (মুনিম ১৭, নাঈম ২, লিটন ৬০, সাকিব ৫, মাহমুদউল্লাহ ১০, আফিফ ২৫, ইয়াসির ৮, মেহেদি , নাসুম ৩*; ফারুকি ৪-০-২৭-২, মুজিব ৩-০-২৪-০, রশিদ ৪-০-১৫-১, নবি ২-০-১৯-০, কাইস ২-০-২১-১, ওমরজাই ৪-০-৩১-২, করিম ১-০-৫-০)।
আফগানিস্তান: ১৭.৪ ওভারে ৯৪ (জাজাই ৬, গুরবাজ ০, রাসুলি ২, নাজিবউল্লাহ ২৭, করিম ৬, নবি ১৬, ওমরজাই ২০, রশিদ ১, কাইস ৮, মুজিব ৪, ফারুকি ০*; নাসুম ৪-০-১০-৪, মেহেদি ৩-০-১৭-০, মুস্তাফিজ ৩-০-১৯-১, শরিফুল ৩৪.-০-২৯-৩, সাকিব ৪-০-১৮-২)।
ফল: বাংলাদেশ ৬১ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা : নাসুম আহমেদ
Discussion about this post