সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছিল না তার। ইনজুরি তো আছেই। অফ ফর্মও তাকে পেছনে ফেলে রেখেছে । টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে তো নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেনই। কবে জাতীয় দলে ফিরবেন তেমন কোন লক্ষ্য স্থীরও করেন নি। তবে এখন তামিম ইকবালের জন্য একটাই খবর-নেপাল সফর।
নেপালের এভারেস্ট প্রিমিয়ার লিগে খেলছেন তামিম। এই টুর্নামেন্টে খেলা তার রিহ্যাব প্রক্রিয়ার একটি অংশ। এমনিতে জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে শুধুমাত্র ওয়ানডে সিরিজ খেলে চোট নিয়ে দেশে ফেরেন তামিম। দেশে ফিরে শুরু হয় তার চিকিৎসা পর্ব। প্রায় ৮ থেকে ১০ সপ্তাহ বিশ্রাম শেষে এখন পুনর্বাসন চলছে।
মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী শোনালেন সুখবর। তামিমের হাঁটুর চোটের আপডেট দিয়ে বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর তামিমকে মেডিকেল বিভাগ থেকে ৮ সপ্তাহের পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। জাতীয় দলের ফিজিও ও ট্রেনারের অধীনে তামিম পুনর্বাসন পরিকল্পনা মেনে চলেছে। যথেষ্ট কষ্ট ও অধ্যবসায়ের সঙ্গে এ জটিল ও দীর্ঘ প্রক্রিয়া প্রায় শেষ করে এনেছে।’
এখন ট্রেনিং করছেন তামিম। দেবাশিষ শেরোংংলায় দাঁড়িয়ে বলেন, ‘দেখুন, গত ২-৩ দিন ধরে স্কিল ট্রেনিং করেছে। ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাচ্ছে। আমরা আশাবাদী, এভাবে স্কিল ট্রেনিং চালিয়ে গেলে ইপিএলে খেলা সম্ভব হবে। আমাদের সঙ্গে তামিমের যে পরিকল্পনা করা হয়েছে তার অংশ হিসেবে ইপিএলে খেলা, এটা পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার একটা অংশ। এই খেলায় বোঝা যাবে স্কিল ও অন্যান্য বিষয় কতটা সামলে নিতে পারছে।’
দেবাশিষ আরও যোগ করলেন, ‘এখন পর্যন্ত পুনর্বাসনের যে অবস্থা তাতে তামিম বেশ আত্মবিশ্বাস পাচ্ছে। সব ধরনের স্কিল ট্রেনিং শতভাগ দিয়ে করতে পাচ্ছে। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত পুরোপুরি খেলার মধ্যে না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত পুরোপুরি নিজেকে যাচাই করতে পারবে না। এই লিগে খেলা পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
এদিকে নেপালের ফ্রাঞ্চাইজি লিগে খেলার অনুমতি পেয়েছেন তামিম। ছয় দলের প্রতিযোগিতা শুরু হবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর, চলবে ৯ অক্টোবর অব্দি। তামিম খেলবেন ভৈরহাওয়া গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে।
Discussion about this post