ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
করোনাভাইরাস কেড়ে নিয়েছে ৫ মাস! হতাশা ছুঁয়েছে অনেককেই। সেই দলে থাকতে পারতেন লিটন দাসও। কারণ যখন খেলা বন্ধ হয়, তখন দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন জাতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার ব্যাট বারবারই হেসেছে! তবে লম্বা একটা বিরতির পর অনুশীলনে নামলেও আত্মবিশ্বাসে কোন কমতি নেই। দেশের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাওয়া সাফল্যটাই ধরে রাখতে চান শ্রীলঙ্কা সফরে।
এ বছরের মার্চে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্রথমটিতেই অপরাজিত ১২৬ করেন লিটন। এরপর শেষ ম্যাচে এই স্টাইলিশ ব্যাটসম্যান খেলেন ১৭৬ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংস। তারপর টি-টুয়েন্টি সিরিজের দুই ম্যাচে করেন দুটি ফিফটি। সিরিজ সেরা হয়েছিলেন টি-টুয়েন্টিতেও। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান লঙ্কা সফরে। আসছে মাসেই দ্বীপ দেশটিতে যাচ্ছে টাইগাররা। সফরে ৩টি টেস্ট খেলার কথা তাদের। অক্টোবরে শুরু হবে লড়াই!
করোনার কারণে লম্বা একটা সময় ঘরেই বন্ধী ছিলেন ২৫ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। তবে সব ভুলে বসেন নি। বলছিলেন, ‘দেখুন, বিরতির কারণে সবাই একটু পিছিয়ে থাকবে। তবে আগে যে সিরিজ খেলেছি, সেটির আত্মবিশ্বাস আছে। যদিও অতি বিশ্বাস নেই। ভাল করেই জানি প্রতিটি বলই মনোযোগ দিয়ে খেলতে হয়।’
এই কাজটাই করছেন অনুশীলনে। সোমবার বলছিলেন, ‘অনুশীলনে মনোযোগ দিয়ে খেলার চেষ্টা করছি। আগের সিরিজ যেভাবে শেষ করেছিলাম জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, সেই মনোযোগ যেন আবার ফিরিয়ে আনতে পারি।’
অনুশীলনে ফেরার আনন্দ নিয়ে জানাচ্ছিলেন, ‘দেখুন, মিরপুরে অনুশীলনে ফিরতে পেরে সত্যিই খুব ভাল লাগছে। অনেকদিন পরে ক্রিকেট ব্যাট ধরতে পারছি। প্রপার উইকেটে ব্যাটিং করতে পারার সুযোগ পাচ্ছি-এটা তো অনেক বড় ব্যাপার। অনুশীলনে ফিরলাম, এতেই পুরো শরীরমন জুড়ে একটা অন্যরকম ভাল লাগা ছড়িয়ে পড়ছে। এখন মনে হচ্ছে আসলেই সামনে ক্রিকেট আছে। আমরা আবার খেলতে নামবো। সবার সঙ্গে অনেকদিন পরে মাঠে দেখা হলো। মনটাই চাঙ্গা হয়ে উঠছে আমার।’
জানালেন, বাসাবন্দি জীবনের সময়টা মন্দ কাটেনি। লিটন দাস বলেন, ‘লকডাউনের পুরোটা সময় বাসায় ছিলাম। ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য যেসব নিয়মকানুন আছে সেটা বাসায় পালন করার চেষ্টা করেছি। পরিবারের সঙ্গে বাসায় কাটিয়েছি।’
Discussion about this post