ঘটনার সত্যতা নিয়ে কারো সন্দেহ নেই। এমন কী ব্রিটিশ মিডিয়াও মনে করছে ‘হেইট ক্রাইম’-এর শিকার হয়ে চট জলদি লন্ডন ছেড়েছেন তামিম ইকবাল। এনিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই নানা প্রতিবেদন প্রকাশ পাচ্ছে তাদের সংবাদপত্রগুলোতে। কিন্তু বাংলাদেশ দলের এই তারকা ক্রিকেটার এনিয়ে ‘সতর্ক’। দিন দুয়েক আগে জানিয়েছেন, ‘কোনরকম আক্রমণের শিকার হয়ে তিনি লন্ডন ছাড়েন নি।’ কিন্তু ব্যাপারটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট শেতাঙ্গ কিছু তরুনের আক্রমণের আতঙ্ক নিয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ দ্রুত ঢাকা ফিরে এসেছেন তামিম।
পুরো ব্যাপারটা নজরে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেরও (বিসিবি)। তামিম প্রসঙ্গটা এড়িয়ে যেরতে চাইছেন বলে এনিয়ে অবশ্য তেমন কিছু করতে পারছে না বোর্ড। বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান শুক্রবার জানালেন ‘আমাদের প্রত্যেক খেলোয়াড়কে অবশ্যই নিরাপত্তা দিতে হবে। এ ঘটনা নিয়ে বলছি না। এ ধরনের ঘটনা যদি ঘটে, বাংলাদেশের সব খেলোয়াড়কে বলছি, সঙ্গে সঙ্গে আমাদের যেন জানানো হয়। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
গত সোমবার ইস্ট লন্ডনের স্ট্রাটফোর্ডে তামিমের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা কিছু শ্বেতাঙ্গ তরুণের বর্ণবাদী আচরণের শিকার হয়েছেন। এটা টাইগার ক্রিকেটার না বললেও বিষয়টা তদন্ত করে জানতে পেরেছে ইংল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম। দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে লিখেছে, কাউন্টি খেলতে এসে লন্ডনে তামিম ও তাঁর পরিবার ‘হেইট ক্রাইম’ এর শিকার হয়েছিলেন। তারপরই তিনি তার ক্লাব এসেক্সের সঙ্গে চুক্তি ভেঙ্গে দেশে ফিরে গেছেন।
আরেক জনপ্রিয় দৈনিক ‘ডেইলি মেইল’ লিখেছে- সহধর্মিনী আয়েশা ও ছেলে আরহাম ইকবালকে নিয়ে রাতের খাবার খেতে একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন তামিম। সেখানেই ‘হেইট ক্রাইম’ এর শিকার হয় তার পরিবার। তবে তামিম পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ করেন নি।
এ অবস্থায় তামিমের নীরবতাকে সম্মান দিচ্ছেন বিসিবি প্রধান। একইসঙ্গে তিনি এটাও বলেছেন যে বোর্ডের কাছে এই ব্যাপারগুলো ক্রিকেটারদের পরিস্কার করা উচিত।
কাউন্টি দল এসেক্সের হয়ে খেলতে গত ৭ জুলাই ঢাকা ছাড়েন তামিম। লক্ষ্য ছিল ৮ থেকে ৯টি ম্যাচ খেলা। কিন্তু তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকার মাথায় হিজাব থাকায় গত সোমবার ইস্ট লন্ডনের স্ট্রাটফোর্ডে কিছু শ্বেতাঙ্গ তরুণের বর্ণবাদী আচরণের শিকার হন। এরপর তার দল এসেক্সকে জানিয়ে লন্ডন ছাড়েন তামিম।
Discussion about this post