হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠ। সূর্যের আলো ঠিকরে পড়ছে সবুজ উইকেটে। বাংলাদেশের যুবারা মুখোমুখি দক্ষিণ আফ্রিকার, যাদের প্রথম দেখায় তারা গুঁড়িয়ে দিয়েছিল মাত্র ১২৮ রানে। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে আজিজুল হাকিমের দল।
কিন্তু গল্পটা ঠিক আগের মতো হলো না। জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগ-দুই ওপেনারের বিদায়ে মাত্র ২২ রানেই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের সূচনা। ধুঁকতে থাকা ইনিংসে হাল ধরেন অধিনায়ক আজিজুল ও রিজান হোসেন। তবে রিজানের ১৭ রানে থেমে যায় সে জুটি। একপ্রান্তে আজিজুল তখনো অবিচল।
তিনি জানতেন, দলকে প্রতিযোগিতামূলক স্কোরে নিতে হলে তাকে লম্বা সময় উইকেটে থাকতে হবে। ৮১ বল খেলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৯ রানের কার্যকর ইনিংস খেলে ফিরলেন অধিনায়ক। শেষদিকে এগিয়ে আসেন কালাম সিদ্দিকী। যেন নিঃশব্দে একটা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। ৬১ বলে ৪৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ১৭৫ রানের সংগ্রহ এনে দেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস শুরু হয় চাপে। জুরিখ ভ্যান শেলভিককে ৬ রানে ফেরান আল ফাহাদ। কিছু সময়ের জন্য ফের জয়ের আশায় বুক বাঁধে বাংলাদেশ। কিন্তু তখনই জ্বলে ওঠেন আরমান মানাক ও জেসন রোয়েলস। ৫৭ ও ৪১ রানে দুইজন মেরুদণ্ড গড়ে দেন প্রোটিয়া ইনিংসের। মানাকের বিদায়ের পর রোয়েলসও ফিরলেন, কিন্তু জয় তখন কেবল সময়ের ব্যাপার। ১৩.১ ওভার হাতে রেখেই সহজ জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
Discussion about this post