স্কোরবোর্ডে ২৫১ রান উঠার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার ড্রেসিংরুমে আনন্দের বন্যা।
অথচ তখনো ম্যাচের মাত্র দ্বিতীয়দিনের খেলা চলছে। কিন্তু ঢাকা বিভাগের ড্রেসিংরুমের উচ্ছ্বাস-উল্লাস জানিয়ে দিল-তারা তো ‘আসল’ জায়গায় ‘জিতে’ গেছে। বোলিং থেকে বোনাস পয়েন্ট পেয়েছিল ঢাকা বিভাগ আগেরদিন। রোববার প্রথম ইনিংসে আড়াইশ রান করার সুবাদে যোগ হল আর দুই বোনাস পয়েন্ট। তাতেই এবারের জাতীয় লিগে সব প্রতিপক্ষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে এল ঢাকা বিভাগ। এই ম্যাচে হেরে গেলেও এখন তাদের ক্ষতি নেই। পয়েন্টের হিসেবে তারাই জাতীয় লিগের চ্যাম্পিয়ন। এখন অপেক্ষা কেবল আনুষ্ঠানিক ঘোষণার!
২০০৬ সালের পর জাতীয় ক্রিকেট লিগের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি ফের উঠছে ঢাকা বিভাগের হাতে।
পয়েন্টের হিসেবে ঢাকা বিভাগকে ছাড়িয়ে যেত পারত কেবল রাজশাহী বিভাগ। কিন্তু এই ম্যাচের আগে ২১ পয়েন্টে এগিয়ে থাকা ঢাকা রোববার বোনাস আরও পাঁচ পয়েন্ট যোগ করে অনেক উপরে উঠে গেল। রাজশাহী এখন এই পর্বে তাদের ম্যাচে সর্বোচ্চ ২৫ পয়েন্ট পেলেও ঢাকা বিভাগকে স্পর্শ করতে পারবে না।
কক্সবাজারে শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনার প্রথম ইনিংসের ২৪৩ রানের জবাবে ঢাকা বিভাগ ২৫২ রান তোলে। ঢাকার প্রথম ইনিংসের নায়ক উইকেটকিপার নুরুল হাসান। ১৪৫ বলে ১০১ রান করেন তিনি। খুলনার স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক ৬ উইকেট পান। দ্বিতীয় ইনিংসে খুলনা দ্বিতীয়দিন শেষে ৩ উইকেটে ৯৪ রান করে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঢাকা মেট্টো দ্বিতীয়দিন শেষে ম্যাচে ১৭২ রানে এগিয়ে রয়েছে। ঢাকা মেট্টো দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ২৫৩ রান করে। রাজশাহীর প্রথম ইনিংস থেমে যায় ২০৭ রানে।
রোববার ফতুল্লায় প্রথম ইনিংসে রংপুর বিভাগ ৫ উইকেটে ৩৪৬ রান তুলে ম্যাচে এগিয়ে রয়েছে। উইকেটকিপার ধীমান ঘোষ ১৪৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে প্রথম ইনিংসে লিড এনে দেন। এই ম্যাচে বরিশাল প্রথম ইনিংসে করেছিল ২৮৯ রান।
বিকেএসপিতে চট্টগ্রামের ২১৩ রানের জবাবে সিলেটের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১৯০ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রাম দ্বিতীয়দিন শেষে ৩ উইকেটে ১৫২ রান তুলে। শেষ ইনিংসে সিলেটকে বড় টার্গেট দেয়ার পথে চট্টগ্রাম।
- ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
Discussion about this post