বেশ সফলভাবেই শেষ অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর। করোনাকালে বায়ো-বাবলে একটা সিরিজ আয়োজন করা সহজ কথা নয়। কিন্তু সেটি দক্ষতার সঙ্গে করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যে আয়োজনে খুশি খোদ অজিরাও। তেমনটাই বুধবার জানালেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।
গণমাধ্যমের সঙ্গে এছাড়াও নানা কথা বললেন বিসিবির প্রধান নির্বাহী। তারই চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো এখানে-
অস্ট্রেলিয়া সিরিজ প্রসঙ্গ
অবশ্যই অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশে আসার আগে থেকেই আপনারা জানেন যে আমাদের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ ও মেডিকেল বিভাগের সাথে যোগাযোগ হয়ে আসছিলো। বিভিন্ন বিষয় বিশেষ করে তাদের প্লেয়ারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যে চাহিদাগুলো ছিল, বেশ কিছু বিষয় তারা আমাদের আগেই জানিয়েছিল যে নিশ্চিত করতে হবে। সেগুলো নিশ্চিত করা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। বায়ো-বাবল প্রোটোকল অনুসারে সেগুলোকে নিশ্চিত করা, এ ধরণের কমপ্লাইন্সগুলো যেন ঠিকঠাকভাবে মিট করতে পারি, কোনো ধরণের ফল্ট না থাকে সেটা নিয়েই আমাদের কাজ করতে হয়েছে।
তারা সন্তুষ্ট…
অবশ্যই, ওরা যথেষ্ট সন্তোষ প্রকাশ করেছে। আমার মনে হয় তারা যা পেয়েছে তা প্রত্যাশার বেশি ছিল। তারা এতটা আশা করেনি, এমন নিরাপত্তা ব্যবস্থা বা বায়ো-বাবল পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পারবো, তাদের চাহিদা অনুসারে আমরা প্রত্যেকটি বিষয় ফুলফিল করতে পারবো।
এবার আসছে নিউজিল্যান্ড। করোনা কালে তাদের জন্য কেমন হবে নিরাপত্তা…
একটা আলাদা বিষয় তো থাকবেই। যেহেতু অস্ট্রেলিয়া চাটার্ড ফ্লাইটে এসেছিল, তারা কমার্শিলায় ফ্লাইট বা রেগুলার ফ্লাইট ব্যবহার করেনি। এ জন্যই তারা চেয়েছিল যেন নূন্যতম মানুষের সংস্পর্শে থেকে বিমানবন্দর থেকে হোটেলে আসতে। যেহেতু নিউজিল্যান্ড কমার্শিয়াল ফ্লাইটে আসছে তাদের জন্য বিষয়টা এরকম প্রযোজ্য হবে না। এরপরও আমাদের চেষ্টা থাকবে যতটা সম্ভব মিনিমাম পাবলিক কন্টাক্টের মাধ্যমে হোটে নিয়ে আসা যায়।
নিউজিল্যান্ড কী চাইছে…
যেহেতু ব্যাক টু ব্যাক সিরিজ হচ্ছে সেহেতু তারাতো চাইবেই অস্ট্রেলিয়া যেমন সুযোগ সুবিধা পেয়েছে তাদেরকেও যেন দেওয়া হয়। আমাদেরও চেষ্টা থাকবে যতটুকু সম্ভব বিষয়টা নিশ্চিত করা যায়। কারণ স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ইস্যুটা কিন্তু শুধু অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড তথা বিদেশি দলের জন্য না, আমাদের খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার বিষয়ও আছে। আমাদের যে কনসার্ন আমাদের প্লেয়ারদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সেটা নিশ্চিতের জন্য হলেও এমন কিছু করতে হবে। এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই আমরা কাজ করছি এবং পরিকল্পনা করেছি।
টানা বায়ো-বাবল খেলোয়াড়দের বিশ্রাম প্রসঙ্গ…
আপনারা জানেন কোভিড সিচুয়েশনে ঘরোয়া ক্রিকেট দিয়ে আমরা খেলায় ফিরে আসি। এবং পরবর্তীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশ সফরে আসে, এরপর আমাদের দল নিউজিল্যান্ড যায়, সেখান থেকে এসে শ্রীলঙ্কায় যায় এরপর আমরা আবার শ্রীলঙ্কাকে হোস্ট করি এবং তারপরেই দল চলে যায় জিম্বাবুয়েতে, সেখান থেকে এসেই জয়েন করে অস্ট্রেলিয়া সিরিজে। এরপর নিউজিল্যান্ড সিরিজ আছে।
আপনারা ইতোমধ্যে দেখেছেন যে ইংল্যান্ড সিরিজটা আমরা রিশিডিউল করেছি ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সাথে কথা বলে। মূলত মেন্টাল বলেন বা ফিজিক্যাল, খেলোয়াড়দের একটা রেস্ট দিতেই আমরা এই গ্যাপটা বের করেছি।
ওমানে বিশ্বকাপের আগে ক্যাম্প নিয়ে…
এই মুহূর্তে আমাদের সাথে আইসিসি ও ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির হোস্ট যারা আছে তাদের সাথে যোগাযগ হচ্ছে। কিছু প্রোটোকলের বিষয় আছে, ওখানকার কোভিড প্রোটোকল কি হবে, কতদিন কোয়ারেন্টাইন করতে হবে এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ হচ্ছে। এ বিষয়গুলো চূড়ান্ত হলেই আপনারা জানতে পারবেন আমরা কবে নাগাদ, যদি কোনো প্রি-ক্যাম্পের আয়োজন থাকে সেটা কবে জয়েন করবো।
Discussion about this post