ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের শুরুটা দুর্দান্তই করেছিল মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী। কিন্তু নিজেদের সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে হার দেখতে হয়েছে দলটির। তাই টুর্নামেন্টের শেষ চারে জায়গা করে নিতে এখন নিজেদের শেষ ম্যাচে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বিপক্ষে জিততেই হবে পদ্মাপাড়ের দলটির। এজন্য এ ম্যাচটি নাজমুল হোসেন শান্তর দলের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘অলিখিত’ ফাইনাল। এমন ম্যাচে অবশ্য ভালো কিছুর আশায় করেছেন অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
বাঁচা-মরার লড়াই প্রসঙ্গে সাইফউদ্দিন বলেন, ‘চট্টগ্রাম নিঃসন্দেহে খুব ভালো খেলতেছে। ওরা ব্যাটিং বোলিং ফিল্ডিং তিন ডিপার্টমেন্টেই দুর্দান্ত করছে। আমরা যদি শেষ ম্যাচটা দেখি ২০০ প্লাস রান করে হেরেছি। ব্যাটসম্যানদের বাড়তি একটা আত্মবিশ্বাস আছে। বোলররা খারাপ করতেছে। ইনশাআল্লাহ তারাও ভালো করবে। খারাপের পর ভালো আসে, এটার জন্য আমি নিজেও অপেক্ষা করছি। ভালো কিছু হবে আশা করি।’
প্রথম দুই ম্যাচ জিতলেও পরের ম্যাচগুলোতে খুব ক্লোজলি হারতে হয়েছে রাজশাহীর। এমন ক্লোজ হারের জন্য দলটির বোলিং ইউনিটকে দায়ী করছেন সাইফউদ্দিন, ‘আমি তো প্রথম থেকেই ম্যাচগুলো দেখতেছি টিভিতে এবং মাঠে। যারা ইয়াং আছে বা সিনিয়র-জুনিয়র হয়ত বড় তারকা নেই আলটিমেটলি সবাই ভালো ক্রিকেট খেলতেছে। ছোট ছোট সিলি কিছু মিসটেকের কারণে হয়তবা ম্যাচ থেকে বের হয়ে যাচ্ছি। বিশেষ করে ১৮ বা ২০তম ওভারে। আমিও একটা ম্যাচে ভালো বল করতে পারিনি। শেষের ওভারগুলোতে যদি ছোটখাট ভুল না করি আমাদের পক্ষে জয় আসা সম্ভব।’
টুর্নামেন্টের শুরুর আগেই ইনজুরিতে পড়েছিলেন সাইফউদ্দিন। যে কারণে শুরুতে তার সার্ভিস পায়নি রাজশাহী। ইনজুরিতে ফিরে পুরোনো রূপে ফিরতে কিছুটা সময় লাগলেও দ্রুত মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। এ ব্যাপারে এ তারকা বলেন, ‘যেহেতু প্রেসিডেন্ট কাপে ভালো খেলেছিলাম, ভালো একটা আশা ছিল যে এ টুর্নামেন্টে ভালো কিছু করবো। যাই হোক, বলে কয়ে তো আর ইনজুরি আসে না। তারপরও একটা ইনজুরি থেকে উঠে এসে আবার ভালো ক্রিকেট খেলা, আগের শেপে আসা কিছুটা তো সময় লাগে। তারপরও চেষ্টা করছি নিজের শতভাগ দেয়ার। হয়ত অনেক সময় হবে, অনেক সময় হবে না। চেষ্টা রয়েছে আমার।’
Discussion about this post