দুঃস্বপ্ন? হয়তো তাই। না হলে প্রিয় ফরম্যাটে কেন এমন ভরাডুবিই বা হবে বাংলাদেশের। বিশেষ করে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা তো যারপরনাই হতাশ করলেন। পরীক্ষিত ব্যাটসম্যানরাই আসা-যাওয়ার দায় সারলেন। দলও পড়ল মহাবিপদে। মনে হচ্ছিল ১০০ রানের আগেই বুঝি শেষ হয়ে যাবে সব! আফগানিস্তানের ২১৫ রানের জবাবে নেমে শঙ্কায়ই পড়ে স্বাগতিকরা।
দলীয় ১৩ রানে প্রথম উইকেট। এরপর ১৮ রান তুলতেই ৪ উইকেট। এরপর ৪৫ রানে শেষ ৬ উইকেট। বিদায় নেন লিটন দাস, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, ইয়াসির আলী, সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লআহ রিয়াদ। তারপর আফিফ হোসেন ধ্রুব ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে কিছুটা রক্ষা।
ব্যাটসম্যানদের এমন বিপর্যয়ে হতাশই হতে পারে চট্টগ্রামের ক্রিকেট ভক্তরা। বিশেষ করে ঘরের ছেলে ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি যে কোন রান না করেই ফিরলেন। বাংলাদেশের ১৩৭তম ওয়ানডে খেলোয়াড় কোন রানই করতে পারলেন না।
চট্টগ্রামের তারকা ক্রিকেটার আফতাবের ওয়ানডে অভিষেক ২০০৪ সালে। বার্মিংহামে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অভিষেকে নামেন পাঁচ নম্বরে। তিনিও ফিরে যান শূন্য রানে। ১৮ বছর পর চট্টগ্রামের আরেক ছেলে ইয়াসিরের সেই পাঁচ নম্বরে নেমে ডাক!
এছাড়া ওয়ানডে অভিষেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে শূন্য রানে আউট আফতাব, ইয়াসির বাদে এই তালিকায় আছেন ডলার মাহমুদ, এনামুল হক জুনিয়র, ফজলে মাহমুদ, গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, হারুনুর রশিদ, জাহাঙ্গীর শাহ, মনিরুজ্জামান, নুরুল আবেদীন, রফিকুল ইসলাম, সামিউর রহমান, শরিফুল ইসলাম, জাকির হোসেন ও জিয়াউর রহমান।
Discussion about this post