তিনি এমনই, আকাশ ছোঁয়া চাপেও ভেঙে পড়েন না। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজেই মিলল তার উত্তর। চতুর্থ টি-টুয়েন্টিতে ৪ ওভারে ৫০ রান দিয়ে তিনি ছিলেন সমালোচনার তোপে। কিন্তু পরের ম্যাচেই কীনা নিজের সেরাটা দিলেন। তুলে নিলেন ৪ উইকেট। তাহলে সমালোচনা কি প্রভাবিত করে না তাকে? প্রশ্ন থাকল-আপনি কি মানুষ?
সোমবার ম্যাচ শেষ হতেই সাকিব উত্তর দিলেন হাসিমুখে ‘অবশ্যই আমি মানুষ। প্রভাবিত অনেকেই হয়, অনেকে হয় না। আমি হয়তো নিজেকে ওইভাবে তৈরি করে নিতে পেরেছি। আমি প্রভাবিত হই না।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চতুর্থ টি-টুয়েন্টিতে ১ ওভারে ৩০ রান দেন তিনি। আর ম্যাচে ৪ ওভারে খরচ করেন ৫০ রান। ক্রিস্টিয়ান তার এক ওভারেই হাঁকান ৫ ছক্কা। সেই ম্যাচটি হারের পর অনেকেই সমালোচনা করছিলেন সাকিবের। কিন্তু তিনি এনিয়ে চিন্তিত ছিলেন না। সাকিব সোমবার রাতে বলছিলেন ‘আমার আশেপাশের পরিবেশ এমন যেখানে আমাকে সমালোচনা প্রভাবিত করার সম্ভাবনা কম থাকে। সেদিক থেকে আমি অনেক ভাগ্যবান।’
সেই ধাক্কা সামলেন সিরিজের শেষ ম্যাচে অজিদের বিপক্ষে ৩.২ ওভারে ১ মেডেন ও ৯ রানে নেন ৪ উইকেট। এই সাফল্যের পথ ধরে আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টিতে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১ হাজার রান ও ১০০ উইকেটের ডাবল পূর্ণ করেন সাকিব। বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার গড়লেন ইতিহাস।
বিশ্বের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টি-টুয়েন্টিতে একশ উইকেট নেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেন সাকিব। তবে এই ফরম্যাটে ব্যাটিংয়ে এক হাজার রান ও একশ উইকেট নেওয়ার যে কীর্তি গড়েন তা আর কারও নেই।
সব মিলিয়ে ৮৪ আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি ম্যাচে সাকিবের সংগ্রহ ১৭১৮ রান। বল হাতে নিয়েছেন ১০০ উইকেট। এই ফরম্যাটে উইকেট শিকারির তালিকায় সাকিব দুই নম্বরে। ১০৭ উইকেট নিয়ে শীর্ষে শ্রীলঙ্কার লাসিথ মালিঙ্গা। ৯৯ উইকেট নিয়ে এরপরই টিম সাউদি। শহীদ আফ্রিদির উইকেট ৯৮টি।
Discussion about this post