আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে তিনি। এশিয়া কাপের ১৭ জনের দলে নেই। ধরে নেওয়া হচ্ছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বিশ্বকাপের দলেও জায়গা হচ্ছে না। বিশ্বকাপে না থাকা মানে তো ৩৭ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহর ক্যারিয়ার অনেকটাই শেষ। যদিও খালেদ মাহমুদ সুজন তেমনটা মনে করেন না। এই বিসিবি পরিচালক ও সাবেক অধিনায়কের ধারণা করছেন এখনই লড়াই ছাড়বেন না রিয়াদ।
এ বছরের মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ থেকে বাদ পড়েন মাহমুদউল্লাহ। তাকে বিশ্রাম দেওয়ার কথা জানান নির্বাচকরা। সেই বিশ্রাম চলতে থাকে ইংল্যান্ড সফরের আয়ারল্যান্ড সিরিজ ও ঘরের মাঠে আফগানিস্তান সিরিজে। কিন্তু এবার এশিয়া কাপের মূল ১৭ জনের সঙ্গে স্ট্যান্ড বাই তিন জনের তালিকাতেও নেই তিনি।
খালেদ মাহমুদ মনে করেন, সহজেই হাল ছাড়বেন না মাহমুদউল্লাহ। তিনি মঙ্গলবার বলেন, ‘আমি এখনই বলব না যে, ওর শেষটা দেখছি। এখনও রিয়াদ দারুণ লড়াকু। দলের সমন্বয় বা যে কারণেই বাদ পড়ুক না কেন, টিম ম্যানেজমেন্ট বা নির্বাচকরা যদি না নেয়, তাতে ভেঙে পড়ার কিছু নেই। এটা সত্যি কথা, রিয়াদের বয়সও হচ্ছে। তবে আমি এখনও বিশ্বাস করি, রিয়াদ যেভাবে লড়াই করে, চেষ্টা করে, তাতে শেষ হয়ে গেছে বলাটা ঠিক হবে না। সুযোগ আবার আসতেও পারে এবং আবার খেলবে।’
মাহমুদউল্লাহ ফিরবেন বলেও মনে করেন সুজন, ‘আমার মনে করি, এখনই রিয়াদ শেষ হয়ে গেছে বলাটা খুব দ্রুত হয়ে যাবে। আপনি একবার ক্রিকেটার হলে, সবসময়ই ক্রিকেটার। রিয়াদ যতক্ষণ না পর্যন্ত বলছে ও শেষ করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত পাইপলাইনে সে অবশ্যই থাকবে। রিয়াদ বাংলাদেশে খেলার মতো যোগ্যতা অবশ্যই রাখে।’
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ সবশেষ জাতীয় দলে খেলেন মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তার ব্যাট করেন যথ্রাক্রমে ৩১, ৩২ ও ৮ রান। তারপরই ‘বিশ্রাম’ দেয় তাকে বিসিবি। আফগানিস্তান সিরিজে মাহমুদউল্লাহ নিজেকে সরিয়ে নেন হজ পালনের জন্য। এবার এশিয়া কাপের দলেও নেই।
তবে খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন রিয়াদ খেলা চালিয়ে যাবেন, ‘আমার মনে হয়, রিয়াদ ঘরোয়া ক্রিকেট খেলবে। আমার ক্যারিয়ারে ১০ বার বাদ পড়েছি, ১০ বার ঢুকেছি। এটা স্বাভাবিক, বড় ইস্যু বানানোর কিছু নাই। রিয়াদ গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। এবার সুযোগ পায়নি। তার জায়গায় যে সুযোগ পেয়েছে, টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করেছে, তাকে এই মুহূর্তে দলে কাজে লাগবে।’
Discussion about this post