দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শেষেই নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তার ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচকরা প্রশ্ন তুলেন। তাইতো নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত এই ব্যাটারের।
তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একটা পক্ষ চাইছে শান্ত আরও কিছুদিন নেতৃত্বে থাকুন। তাকে বোঝানোর চেষ্টাও চলছে। বিসিবির আরেক পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম মনে করছেন অতিরিক্ত চাপেই সরে যেতে চাইছেন শান্ত। বিশেষ করে সমালোচনা নিতে পারছেন না তিনি।
ফাহিম গণমাধ্যমে বলেন, ‘তার মতো একজন খেলোয়াড় আমাদেরই কারণে অধিনায়কত্ব করতে পারছে না। আমাদের মতো দেশে অধিনায়ক হওয়া মানে সবসময় চাপে থাকতে হবে, তাকে নিয়ে আমরা যে পরিমাণ সমালোচনা করি, যেভাবে সমালোচনা করি, তার জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভালো না খেলার কারণও হয়তো সেটা।’
তিনি মনে করেন শান্তর পাশে সবার থাকা উচিত, ‘এখানে শান্তর মতো তরুণ অধিনায়কের পাশে বিসিবির থাকা উচিত। এক দিনেই স্টিভ ওয়াহ, হঠাৎ করেই ইমরান খান-ধোনি হওয়া যায় না। আমাদের সংস্কৃতিতে অধিনায়কত্ব গড়ে ওঠে না। আমরা শান্তকে অধিনায়ক হিসেবে গড়ে তুলতে অনেক সময় বিনিয়োগ করেছি। কোনো সমস্যা হলে আলোচনা করে সমাধানের পথে হাঁটতে চায় বোর্ড।
এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিন সংস্করণের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটার শান্ত। সাকিব আল হাসানের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি। ২০২৪ বিশ্বকাপসহ ২৪ টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়ে ১০টি ম্যাচে জয় লাভ করেন। যদিও এই সময়ে টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক হিসেবে শান্তর ব্যাটিং গড় মাত্র ১৮.৭৬। অধিনায়কত্ব ছাড়া গড় ২৬.৯৫।
টেস্টেও একই অবস্থায় তার। অধিনায়কত্ব ছাড়া শান্তর ব্যাটিং গড় ২৯.৮৩। অধিনায়ক হয়ে ২৫.৭৬। একমাত্র ওয়ানডেতে পারফরম্যান্সের গ্রাফ ভাল। ওয়ানডেতে ৯টি ম্যাচ খেলে তিনটিতে জয় আর হার ছয়টিতে। অধিনায়ক থাকাকালীন ওয়ানডেতে তার ব্যাটিং গড় ৫২.০০। না থাকা অবস্থায় ২৯.৪৪।
Discussion about this post