ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
শক্তির বিচারে ভারতের চেয়ে ঢের পিছিয়ে বাংলাদেশ। অতীত পরিসংখ্যানও টাইগারদের হয়ে কথা বলছে না। এমন কী বর্তমান সময়ের মাপকাঠিতেও এগিয়ে বিরাট কোহলির দল। তারপরও ভারতের বিপক্ষে জয়ে ছক কষছে বাংলাদেশ। বার্মিংহামে ২ জুলাইয়ের লড়াইয়ে হাসিমুখে মাঠ ছাড়তে চায় বিরাট কোহলির দল।
এরইমধ্যে এই ম্যাচ নিয়ে ভক্তদের মধ্যে শুরু হয়েছে হাহাকার। খেলা দেখতে চাইছেন অনেকেই। কিন্তু টিকিট নেই। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ দেখার জন্য একটি টিকিট সংগ্রহে বিপুল আগ্রহ দেখা গেছে সমর্থকদের মধ্যে। কিন্তু ওভাল, কার্ডিফ, টন্টন, নটিংহাম ও সাউদাম্পটনে গ্যালারির অধিকাংশ সিট বাংলাদেশি সমর্থকদের দখলে থাকলেও বার্মিংহামে সেই সুযোগ নেই। কেননা আইসিসি বানিজ্যিকীকরণের জণ্য এ ম্যাচের বেশিরভাগ টিকিট চলে গেছে ভারতীয় সমর্থকদের।
তাছাড়া ভারতীয় নাগরিকদের বসবাস বেশি বসবাস বার্মিংহামে। এ অবস্থায় বার্মিংহামে সমর্থন পাওয়া নিয়ে ভাবছে না বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা বলেন, ‘সেমি-ফাইনালে যেতে হলে জিততে হবে। আমাদের কাছে এই ম্যাচ তাই সেমি-ফাইনাল বা ফাইনাল, বা সবকিছু বলতে পারেন। ডু অর ডাই। শক্তিতে আমরা কতটা পিছিয়ে, ওরা কতটা ফেভারিট, এসব ভাবার সুযোগ নেই। টিকতে হলে জিততে হবে, জেতার পথ বের করতে হবে আমাদের।’
প্রথম দল হিসেবে সবার আগে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দল হিসেবে নিউজিল্যান্ড ও ভারতের সেমি খেলা অনেকটাই নিশ্চিত। তবে চতুর্থ দল হিসেবে লড়াইয়ে আছে ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ।
এ অবস্থায় জিততে হবে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে। মাশরাফি বলছিলেন, ‘সেমি-ফাইনালে খেলতেই হবে ধরে নিলে কাজটা কঠিন হয়ে উঠতে পারে। আমরা একটি করে ম্যাচ ধরে এগোচ্ছি। পরের ম্যাচ ভারতের বিপক্ষে, চাওয়া থাকবে ভালো খেলে ম্যাচটা জেতার। এরপর তাকাব পরের ম্যাচে। সেমিতে খেলতে পারব নাকি পারব না, সেটি পরে।’
বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে তিনবার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে ২ হারের বিপরীতে টাইগাররা জিতেছে একটিতে।
Discussion about this post