ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
এবারের বিশ্বকাপের শুরুটা জয়ে হয়েছিল বাংলাদেশের। তবে সুপার টুয়েলভ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচেই দলটি হতাশ করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরে। যে কারণে টাইগারদের সেমিতে যাওয়া নিয়েও জেগেছে শঙ্কা। তবে সেসব পেছনে ফেলে রোববার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ে চোখ রেখেই মাঠে নামবেন সাকিব আল হাসানরা।
এখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের সঙ্গেই সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে তারা, ১৯ ম্যাচে জয় ১২টি। কিন্তু বিশ্বমঞ্চে যখন প্রথমবার মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল, ফেভারিট তখন জিম্বাবুয়েই বলা যায়। এর পেছনে কারণ গত ম্যাচেই দলটি হারিয়েছে পাকিস্তানকে।
ব্রিজবেনে রোববার বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টায় জিম্বাবুয়ের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ দল। বাস্তবতাকে আলিঙ্গন করে ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে প্রতিপক্ষের প্রতি সেই সমীহ দেখালেন বাংলাদেশের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরামও, ‘অবশ্যই ওদের জন্য আমাদের পরিকল্পনা আছে। তবে আমরা জিম্বাবুয়েকে সম্মান করি। পাকিস্তানে বিপক্ষে তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্সকে মূল্যায়ন করি। ওই ম্যাচের প্রতিটি বল আমরা দেখেছি। পাকিস্তানের বিপক্ষে তারা যেভাবে জিতেছে, এটা অবিশ্বাস্য। পুরো কৃতিত্ব ও সম্মান তাদের প্রাপ্য।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ হেরেছে নিজেদের রেকর্ড বড় ব্যবধানে। বোলিং আর ব্যাটিংয়ের প্রথম দুই ওভার ছাড়া গোটা ম্যাচে তেমন কোনো লড়াই করতেও পারেনি দল। এমন পরাজয়ের পর মনোবল তলানিতে নেমে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। নিজেদের উজ্জীবত করার কাজটিও কঠিন। শ্রীরাম অবশ্য দাবি করলেন, ওই হার থেকে শিক্ষা নিয়ে দল চনমনে হয়েই জিম্বাবুয়েকে হারানোর লড়াইয়ে নামবে, ‘আমার মনে হয়, দলের মনোবল খুব ভালো এখন। আমরা উপলব্ধি করতে পেরেছি, দক্ষিণ আফ্রিকা সেদিন অনেক বেশিই ভালো খেলেছে, খুব শক্তিশালী ছিল ওরা। রাইলি রুশো তিন নম্বরে নেমে ওদেরকে এমন শক্তি জুগিয়েছে, এই মুহূর্তে যা বিশ্বের সেরা। কুইন্টন ডি কক ও রাইলি রুশোর মতো দারুণ দুজন ক্রিকেটারের ভালো ইনিংসের সামনে পড়ে গিয়েছিলাম আমরা। ওই হার থেকে আমরা শিখব।’
রোববার বাংলাদেশ দলে অন্তত একটি পরিবর্তন একরকম অনুমিতই। দক্ষিণ আফ্রিকার বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের জন্য মেহেদী হাসান মিরাজকে একাদশে নেওয়া হয়েছিল। তার বদলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একাদশে ফিরতে পারেন ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলি কিংবা গ্যাবার বাউন্সের কথা ভেবে যোগ করা হতে পারে আরেকজন পেসার। প্রতিপক্ষ যেহেতু জিম্বাবুয়ে, মিরাজের বদলে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে নামিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে একাদশে একটি-দুটি পরিবর্তনের চেয়েও বেশি জরুরি সামগ্রিক পারফরম্যান্স ও মানসিকতায় বদল।
Discussion about this post