ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
চলতি বছরের নভেম্বরে ভারত সফরের মধ্যে দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হবে বাংলাদেশের। তার আগে অবশ্য ঘরের মাঠে একটি টেস্টইখেলার সুযোগ পাচ্ছে সাকিব আল হাসানরা, সেটিও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। যে কারণে প্রস্তুতিতে ঘাটতি থেকে যাবে টাইগারদের। কিন্তু সেটি চায় না বিসিবি। এজন্য প্রথম শ্রেণির আসর জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের খেলাটা বাধ্যতামূলক করা হবে। এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে মাঠে গড়াবে জাতীয় লিগ, চলবে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। এরপর ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) জানুয়ারি মাসে হবে। তাই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে প্রস্তুতিতে সেটি কোনো কাজেই লাগবে না। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতিটা তাই জাতীয় লিগ দিয়েই সারতে হবে। জাতীয় লিগেও জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা হয়তো দুটি রাউন্ডই কেবল খেলতে পারবেন। এ ব্যাপারে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ ম্যাচে যেন জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা খেলে। এ বিষয়ে ঈদের পরেই সভা হবে। সভায় আমরা এটা চূড়ান্ত করব।’ নতুন টেস্ট ক্রিকেটার তৈরি করতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটকে প্রতিযোগিতাপূর্ণ করার বিকল্প দেখেন না প্রধান নির্বাচক।
জাতীয় লিগে খেলা বাধ্যতামূলক হলেও অনেক ক্রিকেটাররই তা মানেন না। কিন্তু এবার নাকি বিসিবি এ ব্যাপারে বেশ কড়া।
দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটের প্রতি কিছুটা নিরাসক্ত বাংলাদেশের মানুষ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে যেহেতু শেষ পর্যন্ত শিরোপা জয়ের একটা ব্যাপার থাকবে, এক দলের অন্য দলকে পেছনে ফেলার প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, এ নিয়ে সবার মধ্যেই আগ্রহ তৈরি হওয়াটা স্বাভাবিক। খেলোয়াড়দেরও আগের চেয়ে আরও বেশি টানবে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট। বাংলাদেশের টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য মুমিনুল হকেরও বিশ্বাস সেটাই, ‘আমাদের মতো দেশের জন্য এটা ভালো হবে। আমাদের মধ্যে চার দিনের ম্যাচের গ্রহণযোগ্যতা আগের তুলনায় বাড়বে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে একটা মর্যাদার ব্যাপার আছে। সব দল ভালো খেলার জন্যই মাঠে নামবে। জিততে চাইবে। বিশ্বকাপের মতো শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হবে একটা দলই। তাই প্রতিযোগিতাটা অনেক বেশি হবে। উত্তেজনা থাকবে। সবাই সেরা হওয়ার জন্যই খেলতে চাইবে।’
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফলে টেস্ট খেলার সংখ্যাটা বাড়বে বাংলাদেশের। ব্যাপারটিকে তাই ইতিবাচক মনে করছেন মুমিনুল, ‘এখন থেকে অনেক বড় দলের সঙ্গে নিয়মিত খেলা হবে। আগে এটা কমই হতো। আমাদের জন্য একটু বেশি ভালো হয়েছে, কারণ আগে বছরে ৪-৫টা টেস্ট খেলতাম, এখন আরও বেশি টেস্ট হবে।’
সামনে বাংলাদেশের অনেক বেশি টেস্ট খেলতে হবে। এজন্য তাই বেশি প্রস্তুতিও নিতে চাইছেন ক্রিকেটাররা। সে সুযোগ অবশ্য বিসিবিও করে দিতে চাইছে। শুধু তাই নয় এবার থেকে ঘরোয়া লিগে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের খেলাও বাধ্যতামূলকে আরও কড়া আইন জারি করতে যাচ্ছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি।
Discussion about this post