নতুন করে জেতে ওঠা বাংলাদেশে এখন চলছে সংস্কার। যতো অনিয়ম-অন্যায় হয়েছে বিগত দিনে এসব নিয়েই চলছে পর্যালোচনা! এ অবস্থায় অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন খেলা চালিয়ে যাওয়া অবস্থায় কি রাজনীতিতে যোগ দেয়া উচিত? কিংবা রাজনৈতিক দলগুলোর কি তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত?
বিশেষ করে মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সাকিব আল হাসান খেলা চালিয়ে যাওয়া অবস্থাতেই রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া নিয়ে অনেক চর্চা হচ্ছে। এনিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফরের আগে সংবাদ সম্মেলনের বড় একটা অংশজুড়ে ছিল সাকিব আল হাসান ও ক্রিকেটারদের রাজনীতি প্রসঙ্গ।
প্রধান নির্বাচক লিপু এনিয়ে বলেন, ‘যে সংস্কারের ছোঁয়া লেগেছে, আমার বিশ্বাস নিশ্চয়ই এমন কিছু প্রসেস থাকবে যে কেউ জাতীয় দলে থাকা অবস্থায় রাজনীতি করতে পারবেন কী না একই সঙ্গে আমি যোগ করতে চাই, সংস্কার দুই জায়গায়ই হতে হবে। একটা খেলোয়াড়ের জন্য যেমন, জাতীয় দলের সঙ্গে তিনি রাজনৈতিক দলে যোগ দিতে পারবেন কী না…তার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোরই কি উচিত একটা জাতীয় দলের খেলোয়াড়কে দলে নেওয়া। তারা তো দেশের জন্যই কাজ করে। ইটস নট অ্যা ওয়ান ওয়ে ট্রাফিক। আপনি শুধু প্লেয়ারকে দোষ দিতে পারবেন না, রাজনৈতিক দলকেও সমান দায় দিতে হবে।’
২০১৮ সালের জাতীয় দলের অধিনায়ক থাকা অবস্থায় আওয়ামী লিগের টিকিট নিয়ে সাংসদ সদস্য হন মাশরাফি। পরের বছর বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দেন দেশকে। ২০২৪ সালেও নড়াইল-২ আসন থেকে সাংসদ হন তিনি। একই বছর মাগুরা-১ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সাকিব।
এবার আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর এ প্রসঙ্গটি সামনে এসেছে। প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘যদি খেলা থাকে এবং রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থাকে, তাহলে আপনি কোনটাকে অগ্রাধিকার দেবেন। একটা নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা যদি থাকে, তাহলে মনে হয় ভালো। তাহলে কোনো খেলোয়াড় রাজনীতিতে যাওয়ার আগে চিন্তা করবেন তার অগ্রাধিকার কোথায়। এই রাস্তাটা মনে হয় বন্ধ হওয়া উচিত। রাজনৈতিক দলের একটা খেলোয়াড় যখন জায়গায় ভালো করছে, তাকে আপনি নিবেন কী না…আর খেলোয়াড়কেও তার প্রায়োরিটির সুযোগ আছে। মানুষ ভুল করে। তার শুধরানোর সুযোগও আছে। সাকিব যদি তার পথচলায় কোনো ভুল করে থাকেন, তার নিজেরই বোঝার সুযোগ হবে, নিজেকে সঠিক রাস্তায় নিয়ে আসবেন।’
Discussion about this post