ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
ক্রোয়েশিয়া ২: ইংল্যান্ড ১
গত কিছুদিন ধরেই উচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছিল ইংল্যান্ড। ফুটবল তার ঘরে ফিরছে! এমন স্লােগানে মুখরিত ছিলেন ইংলিশ ফুটবল ভক্তরা। কিন্তু বুধবার রাতে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় নীল হলেন তারা। ১৯৬৬ সালের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেছে ক্রোয়েশিয়া। প্রথমবারের মতো ফুটবলের বড় মঞ্চের ফাইনালে উঠল বলকান অঞ্চলের এই দেশটি। একের পর এক বিস্ময় উপহার দিয়ে গড়ল নতুন এক ইতিহাস!
বুধবার অল ইউরোপিয়ান সেমিফাইনাল ম্যাচটির নির্ধারিত সময় ১-১ গোলে ড্র ছিল। এরপর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ১০৯ মিনিটে মারিও মানজুকিচের দুর্দান্ত এক গোল ক্রোয়াট সোনালী প্রজন্মের ফুটবলারদের নিয়ে যায় স্বপ্নের ফাইনালে। ২-১ গোলে জিতে দল নুতন এক ইতিহাস গড়ল।
১৫ জুলাই, রোববার বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে ফ্রান্সের সঙ্গে লড়বে ক্রোয়েশিয়া। ফরাসিরা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ট্রফির জন্য লড়বে। আর প্রথম শিরোপায় তাঁকিয়ে ক্রোয়াটরা। তারা জিতলেই জন্ম নেবে নতুন ইতিহাস। নতুন কোন দলের হাতে উঠবে শিরোপা!
বুধবার ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে কিয়েরন ট্রিপারের গোলে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড! বক্সের বাইরে ফ্রিকিক থেকে দেখার মতো এক গোল। ২০ গজ দূর থেকে নেয়া তার বাঁকানো ফ্রি কিকে গোলকিপার দানিয়েল সুবাসিচকে বোকা বানায়। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষে মাঠ ছাড়ে থ্রি-লায়ন্সরা। এরপর ৬৮ মিনিটে ঠিকই সমতা ফেরায় ক্রোয়েশিয়া। সিমে ভারসালকোর ক্রসে বল পেয়ে গোল করেন ইভান পেরিসিচ (১-১)।
এর চার মিনিট পর আরেকটি গোলের সুযোগ পায় ক্রোয়াটরা। সেই পেরিসিচের শট ইংলিশ গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ডকে পরাস্ত করলেও পোস্টে লেগে ফিরে আসে! আবার খেলার ৮৩তম মিনিটে মারিও মানজুকিচের শট পিকফোর্ড আটকে দেন। নির্ধারিত ৯০ মিনিট ১-১ সমতা।
এরপর অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় খেলা। ১০৯তম মিনিটে ইভান পেরিসিচের হেডে বাড়ানো বল পেয়ে বাঁ-পায়ে শট মানজুকিচের। শুরু হয় ক্রোয়াটদের উল্লাস। এই গোল ধরে রেখেই মাঠ ছাড়ে তারা। ১৯৯৮-এর বিশ্বকাপে ডেভর সুকাররা অভিষেকে উঠেছিলেন সেমিফাইনালে। এবার তাদেরই উত্তরসুরীরা উঠলেন ফাইনালে। আর ৫২ বছর শিরোপার সুবাস পেলেও শেষ হাসি হাসা হল না ইংল্যান্ডের। তারা এখন তৃতীয়স্থান নির্ধারনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে বেলজিয়ামের।
Discussion about this post