টি-টোয়েন্টি। ছন্দ, গতি আর সাহসের খেলা। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এই ফরম্যাটে কতবারই না বাজানো হয়েছে ‘নতুন শুরু’র বাঁশি। কিন্তু বারবারই কোথাও না কোথাও তাল কেটেছে। এবার আবারও শুরু, আবারও নতুন কাহিনি-তবে এবার গল্পের মাঝখানে আছেন একজন ভিন্ন লিটন দাস।
শুরুটা শারজাহতে। দুই ম্যাচের এক সংক্ষিপ্ত সিরিজ, প্রতিপক্ষ সংযুক্ত আরব আমিরাত। আজ রাতে শুরু মাঠের লড়াই। হ্যাঁ, এখানে হয়তো প্রতিপক্ষ তেমন শক্তিশালী নয়, কিন্তু এই সিরিজের ওজন তাদের চেয়ে অনেক বেশি। কারণ এই ম্যাচ দুটি হলো বিশ্বকাপ যাত্রার প্রথম ধাপ। একটা নতুন নেতৃত্বের, নতুন দর্শনের, আর সম্ভবত এক নতুন দলের জন্মের সূচনা।
লিটন কুমার দাস-যার কাঁধে উঠেছে দলের হাল ধরার দায়িত্ব। তিনি নেতা হয়েছিলেন বিকল্প হিসেবে, প্রশংসা পেয়েছিলেন অভিজ্ঞতা দিয়ে নয়, নেতৃত্বের প্রভাব দিয়ে। এবার সেই সাময়িক আলো জ্বালানোর কাজটা তাকে করতে হবে স্থায়ীভাবে। ব্যাটে কথা বলাতে হবে, মাঠে ছড়াতে হবে ছন্দ।
আর ঠিক এখানেই চ্যালেঞ্জটা বড়। কারণ পরিসংখ্যান বলছে, লিটনের ব্যাট সাম্প্রতিক সময়টা কেটে এসেছে নীরবতায়। ২৪ ইনিংসে একটিমাত্র পঞ্চাশ—এই সংখ্যা একজন শীর্ষ ব্যাটারের জন্য যথেষ্ট নয়। কিন্তু নেতৃত্ব হয়তো তাকে নতুন করে জাগিয়ে তুলবে, তেমনই বিশ্বাস নির্বাচকদের।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘টি-টোয়েন্টি ব্র্যান্ড’ এখনো গড়ে ওঠেনি। লিটনের কাছে প্রশ্ন গেল—কী ধরনের ক্রিকেট খেলবে তার দল? জবাব ছিল পরিপক্ব: ‘ব্র্যান্ড নয়, ম্যাচ বুঝে খেলা। স্বাধীনভাবে, ভয়হীনভাবে, নিজের মতো করে খেলা।’
এই যাত্রা কতদূর যাবে, তা সময় বলবে। কিন্তু লিটনের দল যদি ভয়কে জয় করে, আত্মবিশ্বাসে ভাসে, তাহলে হয়তো সত্যিই বলা যাবে-এইবারের শুরুটা আলাদা ছিল।
Discussion about this post