ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম শতরান হাঁকিয়েও মুখে হাসি নেই সৌম্য সরকারের। কারণটাও সংগত। কারণ বাংলাদেশ যে রোববার হ্যামিল্টন টেস্টে হেরেছে ইনিংস ও ৫২ রানে। দল হারায় এই সেঞ্চুরির ম্লান হয়ে গেছে বলে মনে করেন সৌম্য।
টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর সর্বশেষ পঞ্চাশ পেরোনো ইনিংস খেলেছিলেন সেই ২০১৭ সালে। এরপর থেকেই রান নেই তার ব্যাটে। এবার নিউজিল্যান্ডের বোলারদের সুইং, বাউন্স আর পেস আটকে টেস্টে শতরান পেলেন। তারপরো্ দল হারায় হতাশ সৌম্য সরকার বলেন, ‘দেখুন, টেস্ট সেঞ্চুরি করে তো অবশ্যই ভালো লাগছে। এটা আমার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি। কিন্তু ম্যাচটা তো হেরেছি। এ জন্য আক্ষেপ থাকবেই। যদি জিততাম, বা ড্র করতে পারতাম, তাহলে অনুভূতিটা অন্যরকম হতে পারত।’
দলের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও পেয়েছেন শতরান। সৌম্যর সঙ্গে মিলে পথ দেখিয়েছেন দলকে। সৌম্য অবশ্য আগেই ফিরেন সাজঘরে। বলছিলেন, ‘খারাপ লাগছে আউট হয়ে গিয়েছি। থাকতে পারলে ওরা আবার নামত। আমি থাকলে রিয়াদ ভাই আরও ভালো খেলতেন। আমরা দুজনই ২০০ করতে পারলে আজকে হয়তো খেলাই শেষ হতো না।’
তবে সিরিজের প্রথম টেস্টে কিউইদের বিপক্ষে এই শতরান তাকে অনেক পরিনত করেছে। বললেন, ‘যে সময়টায় ব্যাটিং করছিলাম, পরিস্থিতিটা খুব কঠিন ছিল। নিউজিল্যান্ডের বোলাররা যে পরিকল্পনায় বোলিং করছিল, তেমন পরিকল্পনায় আগে কখনো ব্যাটিং করিনি। বল বাউন্স করছিল, এর মধ্যে টিকে থাকাটা খুব কঠিন ছিল। অনেক রান মাথার ওপরে ছিল। তার ওপর দুই দিন ব্যাটিং করতে হবে। রিয়াদ ভাইয়ের সঙ্গে পরিকল্পনা করেই এগিয়ে যাচ্ছিলাম। তারপরও আমরা যদি প্রথম ইনিংসে আরও রান করতাম, তাহলে আমাদের জন্যই ভালো হতো।’
নিজের এমন সাফল্যের রহস্যটা নিয়ে সৌম্য বলেন, ‘ওরা যেভাবে ভালো বোলিং করছিল, তাতে একপর্যায়ে দেখলাম রান না করে কেবল টিকে গেলে হবে না, একটা ভালো বল হয়ে গেলেই আউট হয়ে যাব। নিজের রানটাও করা হবে না। চড়াও হলে ওরা পরিকল্পনা পরিবর্তন করবে। তবে চড়াও হতে চেয়েছি কিছু কিছু বলে। রক্ষণাত্মকের পাশাপাশি আক্রমণাত্মক হওয়ারও চেষ্টা করেছি আমরা।’
Discussion about this post