স্বপ্ন দেখতে আসলে বাধা নেই! আবার আত্মবিশ্বাস নিয়ে এগিয়ে গেলে অধরা বলেও কিছু থাকে না। তাইতো আবার মনে মনে তৈরি হচ্ছেন তিনি। স্বপ্ন বুঁনতে শুরু করেছেন মোহাম্মদ শরীফ। আবারো জাতীয় দলে খেলতে চান তিনি। যদিও সেই ২০০৭ সালের পর আর জাতীয় দলের পোশাক গায়ে দেখা যায়নি ডানহাতি এই পেসারকে। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে ঠিকই ঝড় তুলছেন। এইতো বুধবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সপ্তম রাউন্ডে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে শেখ জামালের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকই করলেন শরীফ।
সেই সাফল্যের পর জানালেন, ‘এটি আমার দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। এর আগে জাতীয় লিগে দুইবার বা তিনবার হ্যাটট্রিক করেছিলাম। আর ডিপিএলে এটি দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। এর আগে ২০০৫-০৬ সালে আরেকটি হ্যাটট্রিক করেছিলাম।’
৩২ বছর বয়স এখন শরীফের। কিন্তু হারিয়ে যেতে চান না তিনি। প্রথম শ্রেণি ক্রিকেটে পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩৬৫ উইকেট শিকারি শরীফ লাল-সবুজের জার্সি গায়ে চাপিয়ে ফিরতে চান জাতীয় দলে। বললেন, ‘আমার মনে হয় না আমি শেষ হয়ে গেছি। এখনও অনেক কিছু দেয়ার বাকি আছে। ইচ্ছা আছে জাতীয় দলে ফেরার।’
৩০ বছর হয়ে গেলে দলে টেকা মুশকিল। এমন কথার প্রেক্ষিতে শরীফ বললেন, ‘সাকিবের তো এখন ২৮ বছর। আগামী বছর ও যদি পারফর্ম করতে না পারে তাহলে কি তাকে বাদ দিয়ে দিবেন?’ এর সঙ্গে তিনি পাকিস্তানের সাবকে অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক এবং আশিষ নেহরার প্রসঙ্গ টেনে বললেন, ‘মিসবাহ ৪০ বছর বয়সেও খেলতে পারলে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা কেন পারবে না? আশিস নেহরা আবার দলে ফিরেছে। অনেকেই তো দলে ফিরছেন।’
দল থেকে এভাবে ছিটকে পড়ার পেছেনে নিজের কোনো দায় আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে শরীফ বললেন, তিনি সেটা মনে করেন না। কিছুটা ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে তিনি জানালেন, ‘প্রথম যখন ইনজুরিতে পড়লাম তখন আমাকে অনেক দেরি করে অস্ট্রেলিয়াতে পাঠানো হলো। দেরী না হলে আরো ৩-৪ মাস আগেই হয়তো ফিরতে পারতাম। এই জন্য আমি ২০০৩ সালের বিশ্বকাপও খেলতে পারিনি। তারপরও দেরি করে হলেও আমাকে চিকিৎসার জন্য পাঠানোতে আমি বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই।’
২০০৭ সালে সর্বশেষ টেস্ট ও একই বছর জাতীয় দলের হয়ে শেষ ওয়ানডেটি খেলা শরীফ টাইগারদের হয়ে ১০টি টেস্ট ও ৯টি ওয়ানডেতে মাঠে নেমেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাদা পোশাকে ১৪টি ও রঙিন পোশাকে ১০টি উইকেট নিয়েছেন। তবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১১৪ ম্যাচে ৩৬৫ ও লিস্ট-এ’তে ৮৭ ম্যাচে ১৩২ উইকেট নিয়েছেন।
Discussion about this post