ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
অবশেষে সাকিব আল হাসানের ইচ্ছেরই জয় হল। পুরো পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বুধবার অনাপত্তি পত্র পেয়েছেন তিনি। আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-টুয়েন্টিএক্স টুর্নামেন্টে খেলতে আর কোন সমস্যাই থাকল না।
অবশ্য তার হাতের চোট দ্রুত সেরে যাচ্ছে- এ কারণেই বিসিবি এ ব্যাপারে নমনীয়তা দেখাল। এর আগে শোনা যাচ্ছিল এই টুর্নামেন্টে খেলার ছাড়পত্র পাবেন না সাকিব। কিন্তু আঙুলের সেই ইনজুরি অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছেন টাইগারদের টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি ক্যাপ্টেন। এমন কী সহসাই মাঠে নামার মতো ফিট হয়ে যেতে পারেন তিনি।
এর আগে মঙ্গলবারই বিসিবি পরিচালক এবং ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান এনিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন। যদিও পুরো টুর্নামেন্টে খেলতে পারবেন না সাকিব। মাঝ পথে ফিরতে হবে ঢাকায়। ১৯ ডিসেম্বর শুরু হয়ে আমিরাতের টুর্নামেন্ট চলবে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর ১ জানুয়ারি পর্যন্ত খেলার ছাড়পত্র পেয়েছেন সাকিব। আবার শুরুতেও ম্যাচ মিস করবেন তিনি। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ শেষ হবে ২২ ডিসেম্বর।
মাঝ পথে ফিরে ৫ জানুয়ারি থেকে সাকিব খেলবেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে (বিপিএল)। এবারও ঢাকা ডায়নামাইটসের নেতৃত্বে আছেন তিনি।
ইনজুরি নিয়ে শঙ্কার কথা ভেবেই সাকিবকে এই টুর্নামেন্টে থেকে বাইরে রাখতে চেয়েছিল বিসিবি। কিন্তুএরইমধ্যে জানা গেছে- আঙুলের চোট অনেকটাই সেরে গেছে তার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে নেই তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে নভেম্বরেই ফেরার কথা শোনা যাচ্ছে তার।
তার আগে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে সাকিব বলেন ‘অবশ্যই এটা স্বস্তির খবর। ভালো দিক হচ্ছে, যদি ওই সময়ের আগে আগে ফিট হতে পারি, যদি কিছু ম্যাচ খেলতে পারি, ওই ম্যাচগুলোও যদি খেলতে পারি, তাহলে ভাল প্রস্তুতি। ইনজুরি থেকে এখন সেরে উঠার পথে। এখন আমার ম্যাচগুলো খেলা দরকার। না খেলার কারণে আমার বেশ বড় একটা গ্যাপ হয়ে যাচ্ছে।ছন্দে আসার জন্য আমার ম্যাচগুলো খেলা জরুরী।’
Discussion about this post