ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শেষ রাউন্ডে নাটকীয়তা আর হতাশা-দুইয়েরই দেখা মিলল এক দিনে। সুপার লিগে জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ে শেষ সুযোগ পেয়েও প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব হোঁচট খেয়েছে গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে, অন্যদিকে টানা ১০ ম্যাচে হার নিয়ে লিগ পর্ব শেষ করল শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব।
তামিমের প্রথম শতকে গুলশানের বড় জয়
বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথমে ভালো শুরু করলেও মিডল অর্ডারে ধস নামে। উদ্বোধনী জুটিতে সাব্বির হোসেন ও নাইম শেখ গড়েন ৩৮ রানের জুটি, কিন্তু এরপর দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে বসে দল। এরপর অধিনায়ক ইরফান শুক্কুর (৪৩) ও সাজ্জাদুল হক (৫১*) ইনিংস গুছিয়ে নেন। তবুও রান দাঁড়ায় মাত্র ২০৩।
জবাবে গুলশানের ব্যাটিং ছিল শান্ত, ধারাবাহিক এবং পরিণত। জাওয়াদ আবরার ৩৩ রানে ফিরলেও আজিজুল হাকিম তামিম একপ্রান্ত ধরে রেখে ১০৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। এই ইনিংসের ওপর ভর করেই গুলশান মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। তামিমের প্রথম শতকেই গড়া হয় এই জয়ের ভিত্তি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ২০৩/১০ ( সাজ্জাদ ৫১, ইরফান ৪৩)
গুলশান ক্রিকেট ক্লাব: ২০৪/৫( আজিজুল হাকিম তামিম ১০৫)
ফল: ৫ উইকেটে জয়ী গুলশান
ম্যাচসেরা: আজিজুল হাকিম তামিম
মজিদের সেঞ্চুরি, শাইনপুকুরের আরেকটি হার
দিনের অপর ম্যাচে রূপগঞ্জ টাইগার্স মুখোমুখি হয় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫০ রান তোলে রূপগঞ্জ। দলের সবচেয়ে বড় অবদান রাখেন অভিজ্ঞ ব্যাটার আব্দুল মজিদ, যিনি ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন। তাকে সঙ্গ দেন মাহমুদুল হাসান (৫৬)।
জবাবে শাইনপুকুর শুরুটা ভালো করলেও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি। ওপেনিংয়ে ৫৭ রানের জুটি আসে, এরপর থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। তন্ময় (৫০), রহিম আহমেদ (৫৩) ও শাহরিয়ার শাকিব (৫০) রান করলেও ইনিংস শেষ হয় ২২২ রানেই। ফলাফল—২৮ রানে পরাজয়, যা ছিল তাদের লিগ পর্বে ১০ম টানা হার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব: ২৫০/৬ ( আব্দুল মজিদ ১০২, মাহমুদুল হাসান ৫৬)
শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব : ২২২/১০ ( রহিম আহমেদ ৫৩, তন্ময় ৫০)
ফল: ২৮ রানে জয়ী রূপগঞ্জ
ম্যাচসেরা: আব্দুল মজিদ
Discussion about this post