ঠিক সময়েই রানের দেখা পেয়েছেন সৌম্য সরকার। বিগ ম্যাচে সেই চেনা ছন্দে দেখা গেল তাকে। সঙ্গে দারুণ এক হাফসেঞ্চুরি মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটে। তাতেই ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে আবাহনীকে হারাল ফেভারিট লিজেন্ডন্স অব রূপগঞ্জ। ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে জিতল ২১ রানে।
সোমবার সকালে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রূপগঞ্জের অধিনায়ক মোশাররফ হোসেন। এরপর আবাহনী নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলে ২৫৫ রান। জবাব দিতে নেমে ৪৬.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে রূপগঞ্জ ২৪৫ রান তুলতেই মিরপুরের মাঠে নেমে আসে বৃষ্টি! বন্ধ হয়ে যায় খেলা। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর ডিএল ম্যাথডে ২১ রানে জয়ী ঘোষণা করা হয় রূপগঞ্জকে।
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগের পাঁচ ম্যাচে লিজেন্ডসদের এটি তৃতীয় জয়। একটি টাই। চলতি মৌসুমে এটি তামিমদের দ্বিতীয় হার। এর আগের চার ম্যাচের ৩টিতেই জয় পেয়েছে তারা।
ম্যাচে রূপগঞ্জের হয়ে আবু হায়দার ৩টি এবং তাইজুল ইসলাম ২টি উইকেট নেন।
২৫৬ রানের লক্ষ্য নিয়ে শুরুতেই জুনায়েদ সিদ্দিকির উইকেট হারায় রূপগঞ্জ। তাসকিন আহমেদের বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৫ রানে ফিরে যান এই ওপেনার। তবে অপর প্রান্তে দুর্দান্ত ব্যাট করতে থাকেন সৌম্য সরকার। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মিথুনকে সঙ্গে নিয়ে ১২৭ রানের জুটি গড়েন এই বাঁহাতি। সাকলাইন সজীবের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ৮৯ বলে ৮৪ রান করেন সৌম্য। মিথুন ৭৫ রানে ফেরেন মোসাদ্দেকের বলে। ২৫ রান করে ৪৬ ওভার ৪ বলের মাথায় নাহিদুল ইসলাম আউট হন। রূপগঞ্জের স্কোর তখন ২৪৫। এরপরই ম্যাচে বাধ সাধে বৃষ্টি। ডিএল ম্যাথডে তাদের নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ হয় ২২৫। যা আগেই তুলে নেয় তারা। তাইতো লিগের অন্যতম ফেভারিট আবাহনীর বিপক্ষে ২১ রানে ম্যাচ জিতে নেয় সৌম্য, মিঠুনরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
আবাহনী: ৫০ ওভারে ২৫৫/৬ (তামিম ৫৪, লিটন ১৯, বিসলা ২৭, শান্ত ৭২, মোসাদ্দেক ৬৭*, হাসান ০, অভিষেক ৪; হায়দার ৩/৪৮, তাইজুল ২/৫০, মোশাররফ ১/৪১)
রূপগঞ্জ: ৪৬.৪ ওভারে ২৪৫/৫ (জুনায়েদ ৫, সৌম্য ৮৪, মিঠুন ৭৫, আসিফ ১৯, মোশাররফ ২৫*, নাহিদুল ২৫, আলাউদ্দিন ০*; সাকলাইন ২/৩৪, তাসকিন ১/৩৬, মোসাদ্দেক ১/৪৬, শান্ত ১/৪৯)
ফল: ডাকওয়ার্থ ও লুইস পদ্ধতিতে রূপগঞ্জ ২১ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: সৌম্য সরকার।
Discussion about this post