হোবার্ট হারিকেন্সের বেগুনি রঙের জার্সি গায়ে রিশাদ হোসেনের সেই সামাজিকমাধ্যম পোস্টটিই যেন জানিয়ে দিল একটি নতুন পথচলার সূচনা। ছবি ও ক্যাপশন-দুটোতেই স্পষ্ট, তরুণ লেগ স্পিনার কতটা উদগ্রীব তার প্রথম বিগ ব্যাশ অভিজ্ঞতা ঘিরে।
‘গায়ে চাপিয়ে অসাধারণ লাগছে’-এ কথায় লুকিয়ে থাকা উত্তেজনা বোঝা কঠিন নয়, মাঠে নামার অপেক্ষা হয়তো তাকে আরও বিক্ষিপ্ত করে তুলছে।
বিপিএলে খেলার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রিশাদ এবার বেছে নিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশকে। কিছু বছর আগে একই সুযোগ পেয়েও সে সময়ের ব্যস্ত সূচি ও অগ্রাধিকারবোধের কারণে যেতে পারেননি তিনি। এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দৃঢ়ভাবে, এবং বিসিবিও তাকে অনাপত্তিপত্র দিয়ে সেই সিদ্ধান্তকে সমর্থনের ছাপ রেখেছে। সব মিলিয়ে ২৩ বছর বয়সী এই লেগ স্পিনার এবার পুরো মৌসুম খেলতে প্রস্তুত গতবারের চ্যাম্পিয়ন দলের হয়ে।
আগামী রোববার শুরু হবে বিগ ব্যাশের নতুন আসর। তার দুই দিন পর, মঙ্গলবার বেলেরিভ ওভালে সিডনি থান্ডারের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে হারিকেন্স। সেদিনই হতে পারে রিশাদের দলে অভিষেক, যা বাংলাদেশ ক্রিকেটের পক্ষেও নতুন এক অধ্যায়। এর আগে সাকিব আল হাসান বিগ ব্যাশে খেলেছিলেন বদলি হিসেবে; রিশাদই প্রথম বাংলাদেশি যিনি পুরো মৌসুমে প্রথম পছন্দের ক্রিকেটার হিসেবে সুযোগ পাচ্ছেন।
স্কোয়াডে তার সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন ইংলিশ তারকা রেহান আহমেদ ও ক্রিস জর্ডান। স্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে টিম ডেভিড, ম্যাথু ওয়েড, ন্যাথান এলিসদের সঙ্গে একই ড্রেসিংরুম ভাগ করতে চলেছেন তিনি। দলের প্রধান কোচ জেফ ভনের পাশাপাশি কৌশলগত দায়িত্বে আছেন রিকি পন্টিং-ক্রিকেট বুদ্ধিমত্তার প্রতীক এই কিংবদন্তির সরাসরি দিকনির্দেশনা তরুণ স্পিনারের জন্য নিঃসন্দেহে বিরল সুযোগ।
পন্টিংয়ের সঙ্গে কাজ করা, টাসমানিয়ার মাঠ-সংস্কৃতিতে মানিয়ে নেওয়া, অস্ট্রেলিয়ান পিচ ও আবহাওয়ার চ্যালেঞ্জ, সবকিছুই রিশাদকে এনে দিচ্ছে এক অনন্য শেখার পরিবেশ। বিদেশি লিগে তার আগের অভিজ্ঞতা পাকিস্তান সুপার লিগে, যেখানে লাহোর কালান্দার্সের হয়ে তিনি ৭ ম্যাচে ১৩ উইকেট শিকার করে নজর কাড়েন। জাতীয় দলেও তিনি গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশের প্রধান টি-টোয়েন্টি উইকেট শিকারি, আর বিশ্বকাপে স্থাপন করেছিলেন নতুন রেকর্ড।










Discussion about this post