একেই বলে খ্যাতির বিড়ম্বনা। গ্রামের বাড়িতে গিয়েও স্বস্তি নেই। স্থানীয় মিডিয়া কর্মীরা তো আছেনই, সঙ্গে পাড়া প্রতিবেশীদেরও আবদার রক্ষা করতে হচ্ছে। মঙ্গলবার সাতক্ষীরায় বাড়ি পৌঁছে ঘুমাতে গিয়েছিলেন রাত সাড়ে ৩টায়। আর সকাল থেকেই গ্রামে বৃষ্টি হচ্ছে। তাই ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরিই হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানের। ঘুম থেকে ওঠার পরপরই প্রথমেই মা মাহমুদা খাতুনসহ পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশিদের হাতে অনেকটা বাধ্য হয়েই মিষ্টি মুখ করতে হয়েছে তাকে।
তারপরই বাড়ির উঠানে বের হতেই অপেক্ষমান সংবাদ কর্মীদের ক্যামেরা দেখে দেন দেন দৌড়। এক দৌড়ে ঢুকে যান ঘরের ভেতরে। যদিও পরে তারালী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক ছোটর অনুরোধে বের হয়ে আসেন ঘর থেকে।
এদিকে কাটার মাস্টারের মা মাহমুদা খাতুন বলেন, ‘ওর জন্য দুপুরে দেশি মুরগী ও খিচুড়ি রান্না করবো। ও দেশি মুরগি খেতে পছন্দ করে।’
বাড়ি থেকে বের হওয়া একটু কষ্টসাধ্য বলে জানালেন মুস্তাফিজের ভাই মোখলেছুর রহমান পল্টু। বলেন, ‘বিসিবির নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাছাড়া কোনো জায়গায় গেলে সবাই ঘিরে ধরে। ঠিক ভাবে চলাফেরা করাটা দায় হয়ে যায় আমাদের।’
মঙ্গলবার যশোর বিমানবন্দর থেকে খালু আনিসুর রহমানের দেওয়া ফুল নিয়ে প্রথমে সাতক্ষীরার খালার বাসাতেই যান। পরে নিজ গ্রামে ফেরেন।
মুস্তাফিজ নিজ গ্রাম কালিগঞ্জ উপজেলার তারালি ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া গ্রামে পৌঁছান রাত সাড়ে ১১টার দিকে। তখন এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। আইপিএলের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ফিজ। ১৬ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ১৭ উইকেট।
Discussion about this post