গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতা নতুন কিছু নয়। তবে রোজার পবিত্র সময়েও রাফা শহরের সাধারণ মানুষের ওপর নির্বিচারে বোমাবর্ষণ বিশ্ব বিবেককে আবারও নাড়া দিয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে হামলার ভয়াবহতা ফুটে উঠতেই শুরু হয় প্রতিবাদের ঝড়। সেই ঝড়েই এবার সরব হয়েছেন বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের দুই তরুণ—শেখ মেহেদি হাসান ও নাহিদ রানা।
সামাজিক মাধ্যমে ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজার একটি হৃদয়বিদারক ছবি পোস্ট করে শেখ মেহেদি লিখেছেন, ‘‘গাজা আজকেই শেষ হয়ে যাবে না। যতদিন এই দুনিয়া আছে ততদিন গাজা ও ফিলিস্তিন আছে। কারণ এটা কোরআনের ওয়াদা। এটা রাসূলের জবান। কেয়ামতের আগে পৃথিবীর রাজধানী হবে আল-আকসা, সেন্টার পয়েন্ট হবে ফিলিস্তিন। ঈমান শক্ত করেন একজন মুসলিমের ঈমান হবে লোহার চেয়ে বেশি শক্ত। ইনশাআল্লাহ কখনোই না গাঁজা মুছে যাবে না। ইতিহাসে লিখা আছে এই যুদ্ধ চলবে চলতে চলতে সকল মুসলিম দেশে আস্তে আস্তে শুরু হবে যখন মুসলিম দেশ শূন্য হবার কাছে তখনি দাজ্জালের আগমন হবে। গাজা মুছে যদি এখনি যায় তাহলে কেয়ামত বেশি দূরে না। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুক আমিন।’
তার এই পোস্টে ছিল কোরআনের উদ্ধৃতি, রাসূলের বাণী এবং এক কঠিন বাস্তবতার উপলব্ধি। এক মুসলিম হিসেবে তিনি কেবল মানবিক প্রতিবাদ নয়, এক আধ্যাত্মিক বার্তাও দিয়েছেন। অন্যদিকে, জাতীয় দলের সম্ভাবনাময় ফাস্ট বোলার নাহিদ রানা ফেসবুকে লিখেছেন— ‘এই নিষ্ঠুরতার ভার আমাদের সবার উপর। একদিন আমাদের সবাইকে ইতিহাসের কক্ষে দাঁড়াতে হবে।’
কঠিন এক বাক্য, কিন্তু গভীর বার্তা। ফিলিস্তিনে প্রতিটি শিশুর কান্না, প্রতিটি ধ্বংসস্তূপ, যেন আমাদের প্রতিটি নীরবতার প্রতিবিম্ব। নাহিদ মনে করিয়ে দিয়েছেন—নিরব থাকাও এক ধরনের অবস্থান।
এই সময়টায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনের অনেক ক্রীড়াবিদ যখন ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বা ক্যারিয়ারের কারণে ফিলিস্তিন নিয়ে নীরব, তখন বাংলাদেশের দুই তরুণ ক্রিকেটার তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
Discussion about this post