ক্রিকবিডি২৪.কম রিপোর্ট
টেস্ট সিরিজের ব্যর্থতার দুঃস্বপ্ন মাশরাফি বিন মর্তুজার স্পর্শে কাটিয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এখন ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বপ্নে বিভোর টাইগাররা। আজ বুধবার রাতে জিতলেই ধরা দেবে সিরিজের ট্রফি। আর ম্যাচটাও সেই পয়মন্ত ভেন্যু গায়ানায়। যেখানে আগের ম্যাচটা জিতেছেন সাকিব-তামিমরা। এমন কী এখানে ২০০৭ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
কিন্তু এবার রাতের আলোয় খেলতে হবে এখানে। নতুন এক পরীক্ষা সন্দেহ নেই। যদিও ফ্লাডলাইটে প্রস্তুতি ম্যাচে খেলেছে তারা। কিন্তু সেটা ছিল জ্যামাইকায়। এবার ম্যাচ গায়ানায়। যদিও রাতে শিশিরের দাপট দেখা যাবে বলে মনে হয়না।
দিবারাত্রির এই ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১২-৩০ মিনিটে। সরাসরি ম্যাচটি দেখাবে চ্যানেল নাইন, গাজী টিভি ও সনি ইএসপিএন।
স্বস্তির খবর হল গায়ানার উইকেটে স্পিনাররা বাড়তি সুবিধা পেয়ে থাকেন। উইকেট কিছুটা স্লো। দেখে খেললে রান পাওয়া সম্ভব। আগের ম্যাচে যেমনটা হয়েছে। তামিম ইকবাল তার স্বভাব বিরোধী ব্যাটিং করেছেন। একেবারে দেখেশুনে খেলেছেন এই ওপেনার। ১৪৬ বলে তুলেছেন শতরান। যা কীনা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে মহৃরতম সেঞ্চুরি। সাকিব আল হাসান করেছেন ৯৭। এরপর বল হাতে মাশরাফি নেন ৪ উইকেট। মুস্তাফিজুর রহমান ফিরেই পেয়েছেন দুটি উইকেট।
এই লড়াইয়ের আগে দলের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বলছিলেন, ‘আমরা যখন খেলতে নামি, অবশ্যই প্রতিটি ম্যাচই জিততে চাই। দ্বিতিয় ওয়ানডেতেও আরো বেশি চেষ্টা করতে হবে। কারণ আমি নিশ্চিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করবে। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে থাকতে পারলে সেন্ট কিটস নিয়ে আর টেনশনে থাকতে হবে না। অবশ্যই চাইব যেন শেষ ম্যাচও জিততে পারি। দ্বিতীয় ওয়ানডে বেশি গুরুত্বপূর্ণ আমাদের কাছে।’
এর অর্থ এখানেই সিরিজটা জিতে নিতে চায় টাইগাররা। সাকিব জানান, ‘দেখুন, পরের ওয়ানডের ভেন্যু সেন্ট কিটসেও এমনিতে খুব পার্থক্য হবে না। কিন্তু ওদের সুবিধা বেশি থাকবে। ভালো ব্যাটিং উইকেট হবে। রান ওখানে বেশি হবে, মাঠ ছোট। আমাদের চেষ্টা থাকবে যেন গায়ানাতেই যতটা সম্ভব ভালো করতে পারি। ওয়েস্ট ইন্ডিজে গায়ানার উইকেটিই কেবল স্পিন সহায়ক। স্পিন সহায়ক না হলেও যেটা হয় তা বাংলাদেশের মতোই। এখানকার ঘাস, মাটিও দেখতে বাংলাদেশের মতোই। এটা অবশ্যই আমাদের জন্য ইতিবাচক ব্যাপার।’
সেই ইতিবাচক ব্যাপারগুলো ধরে রেখে গায়ানাতেই সিরিজ জিততে চায় টাইগাররা।
Discussion about this post