তিনি এখন শুধুই একটা দলের নেতা নন। যেন গোটা বাংলাদেশেরই দ্বায়িত্ব কাধে তুলে নিয়েছেন। মাশরাফি বিন মর্তুজা। লাল-সবুজের ইতিহাসের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেটারদের একজন। অনেকেই বলেন- মানুষের ভালবাসাই নাকি সবচেয়ে বড় পুরস্কার। সেই পুরস্কারটাই বেশ কয়েকবছর ধরে শর্তবিহীনভাবে পেয়ে আসছেন ম্যাশ। নন্দিত এই ক্রিকেটারটি সোমবার কাটলেন ৩৩তম জন্মদিনের কেক।
শুভ জন্মদিন মাশরাফি। টাইগারদের রঙীন পোশাকের নায়ককে শুভেচ্ছা।
সেই ১৯৮৩ সালের এই দিনে, ৫ অক্টোবর চিত্রা নদীর পাড়ের শহর নড়াইলে জন্ম মাশরাফির। সেই শৈশবে প্রিয় খেলা ছিল সাঁতার, ফুটবল আর ব্যাডমিন্টন। এরপর ক্রিকেটের প্রতি ভালবাসা। এক নানা’র হাত ধরে শুরু ক্রিকেটে হাতেখড়ি। অনূর্ধ্ব-১৯ দল দিয়ে জাতীয় পর্যায়ে যাত্রা। তারপর আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি।
এরমধ্যে ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক মাশরাফির। এখন পর্যন্ত ৩৬ টেস্টে ৭৯৭ রান ও ৭৮ উইকেট এবং ১৬৩ ওয়ানডেতে ২০৮ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
অধিনায়ক হিসেবেও বেশ সফল তিনি। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ খেলেছে ১টি টেস্ট। জিতেছে সেই একটিতে। আবার ৩১টি ওয়ানডে জয় ২২টিতে। ৯ হার ও ৫টি টি-টুয়েন্টিতে ১ জয়। ৪ হার। দেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক তিনিই।
একের পর এক ইনজুরিতে পড়লেও মানসিক শক্তি দিয়ে বারবারই ফিরেছেন। ৭ বার অস্ত্রোপচারের পরও খেলে যাচ্ছেন তিনি। তাইতো হয়ে উঠেছেন সত্যিকারের নায়ক।
আজকের দিনটি স্মরনীয় একদিন ম্যাশের। কেননা, দুইবছর আগে এদিন জন্ম নিয়েছিল তার ছেলে সাহেল। বাবা-ছেলের একই দিনে জন্ম! স্ত্রী-দুই সন্তান নিয়ে সংসার মাশরাফির।
নড়াইল এক্সপ্রেস ছুটছেই। অভিনন্দন মাশরাফি বিন মতুর্জা কৌশিক!
Discussion about this post