গভীর রাতেই এসেছে সুখবর। সকালে ছড়িয়ে পড়ে ২০২৪ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে নারী টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত আইসিসির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) থেকে নেওয়া হয় এই সিদ্ধান্ত। বিডিংয়ে বাংলাদেশ ২০২৪ সালের নারী টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক হয়েছে।
এই খবরে আনন্দে ভাসছেন নারী ক্রিকেটাররা। রোমাঞ্চ ছুঁয়ে যাচ্ছে জাতীয় দলের নারী ক্রিকেটারদের। স্পিন অলরাউন্ডার রুমানা আহমেদ ও নিগার সুলতানার আনন্দে বাঁধ ভেঙেছে। তারা মনে করছেন বিশ্বমঞ্চে ভালো করার এটাই হবে সবচেয়ে বড় সুযোগ।
রুমানা বুধবার মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে দাঁড়িয়ে বলছিলেন, ‘গতকাল রাতে খবরটা পেয়ে খুব ভালো লাগছে। দশ বছর পর আমাদের দেশে আমরা বিশ্বকাপ খেলতে পারবো। এটা আমাদের জন্য অনেক গৌরবের। নিজেদের জায়গায় খেলার ফলে আলাদা একটা সুবিধা পাওয়া যায়।’
উচ্ছ্বাস ছুঁয়েছে নিগার সুলতানাকেও। এই নারী ক্রিকেটার বলছিলেন, ‘খবরটা শোনার পর আমি খুব রোমাঞ্চিত। কারণ নিজের দেশে বিশ্বকাপ খেলার মতো সৌভাগ্য সবার হয় না। জানি না কী হবে, বেঁচে থাকলে খেলার সুযোগ পেলে আমাদের জন্য বড় একটা বিষয়। নিজের দেশের একটা বাড়তি সুবিধা থাকে, দর্শকদের সমর্থন থাকে যা দলকে উজ্জীবিত করতে অনেক বেশি সাহায্য করে।’
এর আগে ২০১৪ সালে ছেলেদের ও মেয়েদের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশে। তখন প্রতিযোগিতা দুটি একসঙ্গে আয়োজিত হতো। এবার ২০২৪ সালেই প্রথমবারের মতো কেবল মেয়েদের কোনো বড় প্রতিযোগিতা আয়োজন করবে বাংলাদেশ। সেই বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে হবে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেখানে অংশ নেবে ১০টি দল।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন। তিনি বলেন, ‘আইসিসি নারী টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২৪-এর আয়োজক স্বত্ব পাওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য দুর্দান্ত খবর। বিসিবির পক্ষ থেকে, আমি এই সুযোগটির জন্য আইসিসি বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই যখন নারীদের খেলার বিকাশ ও প্রসার ঘটছে এমন সময়ে বাংলাদেশকে নারীদের ইভেন্টটি উপহার দেওয়ার জন্য।’
নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন আরও বলেন, ‘বিশেষ করে, এটি বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেটের জন্য একটি বাঁক বদলের মুহূর্ত হবে। কারণ, এই ইভেন্টটি ছোট ছোট মেয়েদে এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী নারী ক্রিকেটারদের বড় স্বপ্ন দেখাতে অনুপ্রাণিত করবে। আমাদের নারীরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধীরে ধীরে উন্নতি করেছে এবং ঘরের মাঠে এই বিশ্ব ইভেন্টটি আমাদের দেখানোর একটি আদর্শ সুযোগ হবে যে আমরা সেরাদের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি। বাংলাদেশের হাই প্রোফাইল আইসিসি ইভেন্ট আয়োজনের একটি সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে এবং আমার কোন সন্দেহ নেই যে আমরা ২০২৪ সালে একটি বিশ্বমানের টুর্নামেন্ট উপহার দেবো।’
Discussion about this post