প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ দল যখন আটকে গেল ১২৯ রানে তখন অবশ্য আঁচ করা যায়নি এতোটা সহজে জিতে যাবে বাংলাদেশ। কিন্তু কিংসটাউনের উইকেটে বোলাররা দুর্দান্ত বোলিং করলেন। তাতেই ধরা দিল দুর্দান্ত এক জয়!
আজ বুধবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৭ রানে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি রেখেই সিরিজ জিতে নিল বাংলাদেশ দল।
নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, ব্যাটার তাওহিদ হৃদয় ও পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে ছাড়া সিরিজটি খেললেও বাজিমাত টাইগারদের। ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশের পর টি-টোয়েন্টিতে দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের দারুণ জবাব দিল লিটন দাসের দল।
এর আগে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ১৪৭ রান নিয়ে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৭ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ। সেন্ট ভিনসেন্টে আজ বুধবার সকালে বাংলাদেশ তুলে ২০ ওভারে ১২৯ রান। এরপর উইন্ডিজকে ১০২ রানে অলআউট করে দল।
শামীম হোসেন পাটোয়ারী সফল এই ম্যাচেও। দুটি করে চার ও ছক্কায় তার ১৭ বলে ৩৫ রানের ঝড়ো ইনিংস। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে শামীম জিতলেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। যা কীনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার পেলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেট শিকার শুরু করেন পেসার তাসকিন আহমেদ। শেষও করলেন তিনি। ৩.৩ ওভারে ১৬ রানে ৩ উইকেট। তানজিম সাকিবও সফল। তার বোলিং ফিগার ৪-১-২২-২। রিশাদ হোসেনও দারুণ বল করলেন ৩-০-১২-২, মেহেদী নেন দুটি উইকেট।
টেস্ট সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্রয়ের পর ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ তে ধবলধোলাই হয় বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-০ তে এগিয়ে টাইগাররা। শুক্রবার সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতলেই প্রতিপক্ষকে হোয়াইট ওয়াশ করার তৃপ্তি পাবে দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১২৯/৭ (লিটন ৩, সৌম্য ১১, তানজিদ ২, মিরাজ ২৬, জাকের ২১, রিশাদ ৫, মেহেদি ১১, শামীম ৩৫*, তানজিম ৯*; আকিল ৪-০-১৬-১, শেফার্ড ৩-০-২৬-০, চেইস ২-০-৮-১, জোসেফ ৪-০-২১-১, মোটি ৪-০-২৫-২, ম্যাককয় ৩-০-৩২-১)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৮.৩ ওভারে ১০২ (কিং ৮, চার্লস ১৪, ফ্লেচার ০, পুরান ৫, চেইস ৩২, পাওয়েল ৬, শেফার্ড ০, আকিল ৩১, মোটি ০, জোসেফ ০, ম্যাককয় ১*; হাসান ৩-১-২৩-১, শেখ মেহেদি ৪-১-২০-২, তাসকিন ৩.৩-০-১৬-২, তানজিম ৪-১-২২-২, রিশাদ ৩-০-১২-২, মিরাজ ১-০-৮-০)
ফল: বাংলাদেশ ২৭ রানে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশ ২-০তে এগিয়ে।
ম্যাচসেরা: শামীম হোসেন পাটোয়ারী।
Discussion about this post