বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটে শুরু নতুন এক অধ্যায়। বিসিবির নারী বিভাগের নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই আব্দুর রাজ্জাক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, নারী ক্রিকেটারদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তব রূপ মিলেছে বিসিবির সর্বশেষ সিদ্ধান্তে। নারী ক্রিকেটারদের বেতন বেড়েছে, এবং সেই বর্ধিত বেতন কার্যকর হয়েছে চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে।
৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভায় এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়। নতুন চুক্তিতে কেন্দ্রীয় চুক্তির ১৫ জনসহ মোট ৫১ জন নারী ক্রিকেটারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের বেতন চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে বাড়ানো হয়েছে। নতুন বেতন কাঠামোয় সর্বোচ্চ বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং সর্বনিম্ন ৮০ হাজার টাকা।
এর আগে ‘এ’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটাররা পেতেন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করে। এবার সেই বেতন বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ‘বি’ ক্যাটাগরির বেতন ১ লাখ ৩৫ হাজার, যা আগের থেকে ৩৫ হাজার বেশি। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে থাকা ক্রিকেটাররা পাবেন ৯৫ হাজার টাকা, যা আগের থেকে ২৫ হাজার বৃদ্ধি। ‘ডি’ ক্যাটাগরির বেতন ৬০ হাজার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজার টাকায়।
জাতীয় চুক্তির আওতায় থাকা ৩৬ জন নারী ক্রিকেটারদের বেতন অপরিবর্তিত থেকে ৩০ হাজার টাকা রাখা হয়েছে। তবে যারা কেন্দ্রীয় চুক্তিতে নেই কিন্তু জাতীয় দলে সুযোগ পাবেন, তারা মাসিক ৬০ হাজার টাকা বেতন পাবেন। অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়কের জন্যও রয়েছে অতিরিক্ত ভাতা-ক্রমশ ৩০ হাজার ও ২০ হাজার টাকা।
নতুন কেন্দ্রীয় চুক্তিতে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে জায়গা পেয়েছেন নিগার সুলতানা জ্যোতি, নাহিদা আক্তার এবং শারমিন আক্তার সুপ্তা। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে রয়েছেন ফারজানা হক পিংকি, রিতু মনি, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, রাবেয়া খান ও সোবহানা মোস্তারি। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে আছেন স্বর্ণা আক্তার, আর ‘ডি’ ক্যাটাগরিতে রয়েছেন সুমাইয়া আক্তার, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক, সানজিদা আক্তার মেঘলা এবং নিশিতা আক্তার নিশি।
বেতন কাঠামো কার্যকর হবে গত জুলাই মাস থেকে এবং চলবে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত। অর্থাৎ নারী ক্রিকেটাররা চার মাসের বকেয়া বেতন ও এরিয়ার বিলসহ দ্রুতই বেতন পাবেন।










Discussion about this post