সেই একই গল্প। একই দৃশ্যপট। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে আর বাংলাদেশের অনায়াস জয়। রোববারও তার ব্যাতিক্রম হল না। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ৬৮ রানে হারাল বাংলাদেশ। তাতেই ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দল এগিয়ে গেল ২-০’তে।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ৭ উইকেট হারিয়ে তুলে ২৫১ রান। জবাব দিতে নেমে ৪৪.৫ ওভারে ১৮৩ রানে অলআউট জিম্বাবুয়ে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত পাঁচ ম্যাচে এটি বাংলাদেশের টানা পঞ্চম জয়।
এরচেয়ে সুন্দর শুরু বুঝি কল্পনাই করা যায় না। বিনা উইকেটে ১৫৮। অথচ সেই দলটাই কীনা রোববার ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তুলল ২৫১ রান।
রোববার দিবারাত্রির ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
এরপরই শুরু তামিম ইকবাল আর এনামুলের দুর্দান্ত ব্যাটিং। দু’জন গড়েন ১৫৮ রানের উদ্বোধনী জুটি। ওয়ানডেতে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের উদ্বোধনী জুটি। সর্বোচ্চ জুটিট মেহরাব হোসেন ও শাহরিয়ার হোসেনের। ১৯৯৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ১৯৯ রান করেছিলেন দু’জন। রোববার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তামিম ইকবাল ৭৬ ও এনামুল হক ৮০ রান করেছেন।
কিন্তু এরপরই মাত্র ২৩ বলের মধ্যে সাচজঘরে ফির যান তামিম, সাকিব আল হাসান, এনামুল ও সাব্বির রহমান।
মুশফিকুর রহীম করেন ২৭। আর মমিনুল হকের ব্যাটে ৩৩।
এরপর বাকী কাজটা সারেন বোলাররা। আরাফাত সানি ২৯ রান দিয়ে নেন জিম্বাবুয়ের ৪ উইকেট। ৩ উইকেট শিকার করেন অধিনায়ক মাশরাফি।
৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে প্রথম ওয়ানডেতে ৮৭ রানে জিতেছে বাংলাদেশ। এর আগে টেস্ট সিরিজে সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশ করেছে তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৫১/৭ (তামিম ৭৬, এনামুল ৮০, সাকিব ০, মুশফিক ২৭, সাব্বির ০, মাহমুদুল্লাহ ১২, মুমিনুল ৩৩*, মাশরাফি ৬, রুবেল ৫*; কামুনগোজি ২/৩৮, পানিয়াঙ্গারা ২/৫১, সিবান্দা ১/৪৫, চাটারা ১/৫৮)
জিম্বাবুয়ে: ৪৪.৫ ওভারে ১৮৩ (রাজা ১৬, সিবান্দা ২১,মায়ার ৫০, চাকাভবা ৩২, চিগুম্বুরা ৩৮; সানি ৪/২৯, মাশরাফি ৩/৩৪, সাকিব ১/১৮, আল-আমিন ১/৪৪)
ফল: বাংলাদেশ ৬৮ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: মাশরাফি বিন মর্তুজা
Discussion about this post