ব্যাট করতে যেন ভুলেই গিয়েছিলেন তিনি। একের পর এক ব্যর্থ! মনে হচ্ছিল টেস্ট দলে বুঝি জায়গাটাই হারাবেন তামিম ইকবাল। এভাবে ব্যর্থতার মিছিল চলতে থাকলে তো এমনটাই হয়। সমালোচনার তোপে পড়েন তামিম! বলা হচ্ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজটাই ছিল তার শেষ সুযোগ।
এমন চাপের মুখে ঝলসে উঠল তামিমের ব্যাট। প্রায় সাড়ে চার বছরের অপেক্ষা শেষ হল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার শতরান তুলে নিলেন তিনি। ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন।
মঙ্গলবার খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে অবশ্য রয়ে সয়ে নয়, স্বভাবসুলভ মারকুঠে ব্যাটিং ছিল তামিমের। তারপরও এটি তার সবচেয়ে ধীর গতির সেঞ্চুরি। তিন অঙ্কে পৌঁছতে সময় নেন ৪৩৮ মিনিট।। শতরান করতে তামিম খেলেন ৩১২ বল। এটি বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে ধীর গতির সেঞ্চুরি। এর আগে তামিমের বড় ভাই নাফিস ইকবাল এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ৩০৯ বলে করেন শতরান, ২০০৫ সালে। এবার দেখা মিলল অন্য এক তামিমের। ৩৪ ইনিংস পর শতরান পেলেন তিনি। অথচ এই তামিম ২০১০ সালে লর্ডসে বাংলাদেশের দ্রুততম শতরানের রেকর্ডটি গড়েন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন অঙ্কে পৌছান ৯৪ বলে।
সেই তামিম এবার অন্য চেহারায় হাজির। সাড়ে চারবছর পর পরিনত এক সেঞ্চুরি।
Discussion about this post