শেষদিন ম্যাচ জমবে। দারুণ লড়াই হবে-এমন ভাবনা নিয়ে যারা মঙ্গলবার সকাল সকাল মিরপুরে এসেছিলেন, তাদের আশা পুরো হয়নি। আর যারা একটু দেরিতে মাঠে এসেছিলেন-তারা তো পুরোদুস্তরই ঠকেছেন। খেলা যে শেষ সকাল ১১টা ৩ মিনিটেই!
চ্যালেঞ্জ-ট্যালেঞ্জের ধারে কাছে যেতে পারেনি বিসিবি উত্তরাঞ্চল। ম্যাচ জিততে শেষদিন তাদের প্রয়োজন ছিল ৩১৮ রান। কিন্তু ধারে কাছেও যে যেতে পারেনি তারা। সকালে ম্যাচের প্রথম সেশনেই তারা বাকি ৭ উইকেট হারায় মাত্র ১০৫ রান যোগ করে। অলআউট হয় ৩৫৯ রানে। প্রাইম ব্যাঙ্ক দক্ষিণাঞ্চল বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের ফাইনাল জিতল ২১৩ রানের বড় ব্যবধানে।
শেষদিন মঙ্গলবার চটজলদি ফাইনাল শেষ করে দেন প্রাইম ব্যাঙ্ক দক্ষিণাঞ্চলের অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক। একপাশ থেকে টানা বল করে তুলে নেন ৬ উইকেট। নাসির হোসেন তার আগের দিনের স্কোরের সঙ্গে আর কোন রান যোগ করতে পারেননি। ফরহাদ হোসেন ১২৯ রানের ইনিংস খেললেও ম্যাচ বাঁচানোর সঙ্গী হিসেবে পাশে যে কাউকে পেলেন না। শেষদিনের প্রথম সেশনেই বিসিবি উত্তরাঞ্চলের ইনিংস এমনভাবে মুখ থুবড়ে পড়বে-কে ভেবেছিল।
দ্বিতীয় ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরির সুবাদে ফাইনালের ম্যাচ সেরাটা ট্রফি পান প্রাইম ব্যাঙ্ক দক্ষিনাঞ্চলের ওপেনার ইমরুল কায়েস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস : ২৭১/১০ এবং ২য় ইনিংস : ৫৩৬/১০ (ইমরুল ২০৪, এনামুল ২১, সৌম্য ৪১, মিঠুন ১২৬ , শুভগত হোম ২২, তাইয়াবুর ৩১, রাজ্জাক ৩৩, ; শুভাশীষ ৩/১২৮, ফরহাদ রেজা ২/৫৯, তাইজুল ১/১৫৬)।
বিসিবি উত্তরাঞ্চল ১ম ইনিংস : ২৩৫/১০ এবং ২য় ইনিস: ৩৫৯/১০ (৮৭.৪ ওভারে, মাইশাকুর ৩২, জুনায়েদ ৫১, নাঈম ইসলাম ১৬, ফরহাদ হোসেন ১২৯, নাসির হোসেন ৬৭, হামিদুল ২২, রাজ্জাক ৬/১০২)
ফল: প্রাইম ব্যাঙ্ক দক্ষিনাঞ্চল ২১৩ রানে জয়ী।
ফাইনাল সেরা: ইমরুল কায়েস।
Discussion about this post