চট্টগ্রামে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যর্থতা আবারও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল ব্যাটিং দুর্বলতা। ১৮২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেই মাত্র ১৮ রানে চার উইকেট হারিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ প্রতিপক্ষের হাতে তুলে দেয় টাইগাররা। তানজিদ হাসান, লিটন দাস, পারভেজ ইমন ও সাইফ হাসানের ব্যর্থতার পর একাই লড়াই করেন তাওহীদ হৃদয়। তার ৫০ বলে অপরাজিত ৮৩ রন ব্যাটিংকে সম্মানজনক জায়গায় তুললেও দলের পরাজয় ঠেকানোর মতো সহায়তা আর কেউ দিতে পারেননি।
ম্যাচ শেষে রাতে অধিনায়ক লিটন দাস দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সোজাসাপটা কথা বলেন। তার মতে, বোলাররা খারাপ করেননি, বরং উইকেটে সহায়তা থাকার পরও আরও ২০–২৫ রান কম দিতে পারলে ম্যাচের চিত্র বদলে যেতে পারত। মুস্তাফিজের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সকে বিশেষভাবে প্রশংসা করলেও লিটন মনে করেন, যৌথভাবে আরও ভালো বল করা প্রয়োজন ছিল।
ব্যাটিং নিয়ে লিটনের হতাশা স্পষ্ট। তিনি বলেন, পাওয়ার প্লেতে এতগুলো উইকেট হারালে ম্যাচ উদ্ধার করা অসম্ভবই হয়ে ওঠে। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে দলে ফিরে হৃদয় যে ইনিংসটি খেলেছে তা নিয়ে অধিনায়ক খুশি। চট্টগ্রামের উইকেটে শিশির পড়লে ব্যাটিং সহজ হয়, এ কথা মনে করিয়ে দিয়ে লিটন বলেন, পরিস্থিতি কঠিন হলেও হৃদয়ের মতো ইনিংস দলকে অনুপ্রাণিত করবে।
হার সত্ত্বেও লিটন আশা ছাড়তে রাজি নন। তিনি বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশ নিজের সেরাটা খেলতে পারলে আয়ারল্যান্ডকে হারানো সম্ভব। তিনি চান, হৃদয়ের পারফরম্যান্স পুরো সিরিজজুড়ে অব্যাহত থাকুক, আর দলের বাকিরাও নিজেদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা নিয়ে মাঠে নামুক।
২৯ নভেম্বর পরের ম্যাচ। সেই ম্যাচে চোখ রেখে লিটন বলেন, ‘আমি এখনও নিজ দলের ওপর বিশ্বাস রাখি। আমরা যদি নিজেদের সেরা খেলাটা খেলি, তাদের হারাতে পারব। তবে আমাদের সেরাটা খেলতে হবে। আবারও হৃদয়ের কথা বলতে হয়। সে দারুণ ব্যাটিং করেছে। তার কাছ থেকে সিরিজজুড়ে এমন চাই। ঘুরে দাঁড়াব আশা করি আমরা।’








Discussion about this post