২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেই সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচারণা কার্যক্রম শুরু করেছেন আগেভাগেই। নির্বাচনী উত্তাপ বাড়তে থাকায় এবার মাঠে নামল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। তারা সকল ফেডারেশনকে চিঠি দিয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে, জাতীয় দলের কোনো খেলোয়াড়কে যেন কোনোভাবেই নির্বাচনী প্রচারণায় যুক্ত করা না হয়। ক্রীড়া পরিচালক আমিনুল এহসান এই নির্দেশনাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।
এই নির্দেশনার পেছনে সাম্প্রতিক একটি ঘটনার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, জাতীয় দল ঘরানার কয়েকজন ফুটবলার হামজা, জামাল ও সামিত ফেনীর সোনাগাজী ও দাগনভূঞাকে উদ্দেশ করে শুভেচ্ছাবার্তা দিচ্ছেন।
সরাসরি কোনো প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়া বা স্পষ্ট প্রচারণা না থাকলেও ভিডিওর একাংশে ফেনী-৩ আসনের প্রার্থী আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছবি এবং রাজনৈতিক প্রতীক দেখা যায়। এতে বিষয়টি আলোচনায় আসে এবং খেলোয়াড়দের অনিচ্ছাকৃতভাবেই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
ইতিপূর্বেও নির্বাচনের সময় ক্রিকেটারদের রাজনৈতিক প্রচারণায় দেখা গিয়েছিল। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও সাকিব আল হাসানের নির্বাচনী কর্মকাণ্ডে জাতীয় দলের একাধিক ক্রিকেটার সরাসরি উপস্থিত থেকেছেন, যা নিয়ে তখনও বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
এবারের জাতীয় নির্বাচনে প্রচারণা আরও জোরেশোরে শুরু হওয়ার আগেই তাই নির্বাচনকালীন রাজনৈতিক পরিবেশে খেলোয়াড়দের ব্যবহার নিয়ে আগাম সতর্কতা দিল দেশের ক্রীড়া অভিভাবক সংস্থা।
চিঠিতে এনএসসি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা দেশের সম্পদ এবং সকল নাগরিকের ঐক্যের প্রতীক। তাদের ভাবমূর্তি রাজনৈতিক বা নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হলে ক্রীড়াঙ্গনের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণ হবে এবং এর পবিত্রতাও বিঘ্নিত হতে পারে। নির্বাচন ঘিরে কিছু ব্যক্তি বা মহল খেলোয়াড়দের প্রচারণায় ব্যবহার করার চেষ্টা করছে-এই বিষয়টিকেও উদ্বেগজনক বলে মনে করেছে ক্রীড়া পরিষদ।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো ফেডারেশন জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের কোনো রাজনৈতিক দল, জোট বা নির্বাচনী প্রার্থীর প্রচারণায় সরাসরি বা পরোক্ষভাবে ব্যবহার করতে পারবে না। একই সঙ্গে খেলোয়াড়রা নিজেরাও কোনো প্রচারণামূলক অনুষ্ঠান, জনসভা বা মঞ্চে উপস্থিত হতে পারবেন না। ফেডারেশন এবং খেলোয়াড় উভয় পক্ষকেই এ নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।










Discussion about this post