বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটে সম্প্রতি তৈরি হওয়া অস্থিরতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম। তার এক সাক্ষাৎকার প্রকাশের পরই সামনে আসে যৌন নিপীড়নের মতো গুরুতর অভিযোগ, যার নিশানায় রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এক কর্মকর্তা। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে ক্রিকেটাঙ্গনে নেমেছে আলোচনার ঝড়, প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন দেশের শীর্ষ ক্রিকেটাররাও। তামিম ইকবাল, তাইজুল ইসলাম ও মুশফিকুর রহিমসহ অনেকে সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত দাবি করেছেন।
এরই মধ্যে বিসিবি তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, যার আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তারিক উল হাকিম। অন্য দুই সদস্য হলেন বিসিবির একমাত্র নারী পরিচালক রুবাবা দৌলা এবং ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লা। কমিটিকে ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এই ঘটনাকে ঘিরে বিসিবির বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আসিফ আকবর কঠোর অবস্থান জানিয়েছেন। টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আসিফ বলেন, ‘অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার আগে কাউকে অপরাধী বলাটাও অপরাধ। বিসিবি ১৫ দিন সময় নিয়েছে, তদন্ত কমিটি করেছে। আমাদের উচিত ১৫ দিন অপেক্ষা করা। ১৫ দিন পর যদি উল্টাপাল্টা কিছু হয়, আমরা তা মোকাবিলা করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারী ক্রিকেটে বাংলাদেশ আজ যে উচ্চতায়, সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হলে এই ধরনের সমস্যা কঠোরভাবে সমাধান করতে হবে। ফালতু সমস্যাগুলো যদি সমাধান না হয়, তাহলে এগিয়ে যাওয়া কঠিন হবে।’
আসিফ আকবরের মতে, নতুন বোর্ড হিসেবে তারা বিতর্কমুক্ত পরিবেশে কাজ করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা বোর্ডে নতুন, দেড় মাস হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হলো অতীতের বিতর্কগুলো যেন আর টেনে না আনা হয়, যেন এগুলো বন্ধ হয়ে যায়। আমরা সেটাই নিশ্চিত করতে চাই।’
অন্যদিকে, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, সেই মঞ্জু সামাজিক মাধ্যমে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে লিখেছেন, তদন্তের ফলাফলের আগে যেন কেউ অনুমাননির্ভর মন্তব্য না করেন। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আমার কি স্ত্রী-মেয়ে-বোন নেই? আমাকে এত বছর ধরে সবাই দেখছেন-কখনো কি এমন কিছু শুনেছেন? যদি অভিযোগ থেকেই থাকে, তবে কেন তারা প্রকাশ্যে আসেনি, কেন বিসিবি আমাকে বরখাস্ত করেনি?’










Discussion about this post