দিল্লির এক শীতের সকালে জন্ম নেওয়া এক ছেলেকে কে জানত একদিন ভারতীয় ক্রিকেটের হৃদস্পন্দন হয়ে উঠবে? ১৯৮৮ সালের ৫ নভেম্বরের সেই জন্মদিন এখন এক জাতির গর্বের প্রতীক। আজ ৩৭-এ পা দিলেন বিরাট কোহলি-যিনি ক্রিকেটের বাইরেও এক অনুভূতির নাম।
কোহলি শুধু ব্যাট হাতে রানের হিসেব গড়েননি, গড়েছেন আত্মবিশ্বাসের নতুন সংজ্ঞা। তিনি শিখিয়েছেন-ফিটনেস শুধু শরীরের নয়, মানসিকতারও বিষয়। ক্রিকেট মাঠে তাঁর চোখে ছিল আগুন, যা প্রতিপক্ষ নয়, নিজের ভেতরের দুর্বলতাকেই পোড়াতে চাইত।
যে দেশে ক্রিকেট ধর্ম, সেখানে বিরাট যেন সেই ধর্মের পুরোহিত। তিনি শিখিয়েছেন, হার মানা মানে শেষ নয়-বরং লড়াইয়ের নতুন শুরু। একসময় তার ড্রেসিংরুম ছিল যুদ্ধক্ষেত্র, যেখানে প্রতিটি বল মানে প্রতিশোধ, প্রতিটি রান মানে বিশ্বাসের জয়।
কিন্তু সময় বদলায়। কোহলিও বদলেছেন। এখন তার ব্যাটে আগের মতো গর্জন নেই, আছে সুর। একদা আগ্রাসনের প্রতিমূর্তি এখন যেন এক শান্ত সম্রাট, যিনি জানেন, জয় মানে কেবল স্কোরবোর্ড নয়, জীবনের ভারসাম্যও।
স্ত্রী অনুষ্কার সঙ্গে তাঁর যাত্রা যেন মাঠের বাইরের দ্বিতীয় ইনিংস। সেখানে নেই প্রতিপক্ষ, আছে সহযাত্রী। হাসি, ভালোবাসা, সন্তান-এইসবই এখন তাঁর আরেক রকম অর্জন।
তবু আগুনটা নিভে যায়নি। সাত মাস পর মাঠে ফিরে ৭৪ রানের ইনিংস খেলে যেন জানিয়ে দিলেন, ‘আমি শেষ নই।’ ২০২৭ বিশ্বকাপই হয়তো তার শেষ মঞ্চ, কিন্তু তিনি জানেন, কিংবদন্তিদের শেষ বলে কিছু নেই-তারা শুধু সময়ের পাতা বদলায়।









Discussion about this post