ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাইয়ের তিক্ত অভিজ্ঞতা পেয়েছে বাংলাদেশ দল। সিরিজে দলীয় পারফরম্যান্স ছিল হতাশাজনক, তবে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে উজ্জ্বল ছিলেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। ধারাবাহিক ব্যাটিং প্রদর্শনের পুরস্কার পেয়েছেন তিনি আইসিসির সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫ বলে ১৫ রান করলেও, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচে তানজিদের ব্যাট ঝলসে ওঠে। দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি করেন ৬১ রান, আর শেষ ম্যাচে খেলেন ক্যারিয়ারসেরা ৮৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। এই ধারাবাহিকতার ফলে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে ২০ ধাপ এগিয়ে বর্তমানে ১৭তম স্থানে উঠে এসেছেন তানজিদ, যা তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ অবস্থান। তার রেটিং পয়েন্ট এখন ৬৩৬। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তিনিই এখন সর্বোচ্চ র্যাঙ্কধারী।
বাংলাদেশের অন্য ব্যাটারদের চিত্র অবশ্য উল্টো। সাইফ হাসান ৯ ধাপ পিছিয়ে ২৯ নম্বরে, তাওহীদ হৃদয় তিন ধাপ পিছিয়ে ৪৬ নম্বরে, পারভেজ হোসেন ইমন ৪ ধাপ নেমে ৫৮তম স্থানে, আর জাকের আলী অনিক দুই ধাপ পিছিয়ে ৬৫তম স্থানে আছেন। লিটন দাসের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন হয়নি; তিনি রয়েছেন ৪৪ নম্বরে।
বোলারদের মধ্যে উন্নতি করেছেন শেখ মেহেদি হাসান ও তানজিম হাসান সাকিব। মেহেদি ৬ ধাপ এগিয়ে যৌথভাবে ১৭তম স্থানে, আর তানজিম তিন ধাপ উন্নতি করে ৩৪তম স্থানে উঠেছেন। অন্যদিকে অবনতি হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমান, রিশাদ হোসেন ও তাসকিন আহমেদের।
মুস্তাফিজ এক ধাপ পিছিয়ে ১২তম স্থানে, রিশাদ দুই ধাপ পিছিয়ে ২৬ নম্বরে, আর তাসকিন পাঁচ ধাপ পিছিয়ে ৪৫ নম্বরে অবস্থান করছেন। সমান পাঁচ ধাপ পিছিয়ে শরিফুল ইসলাম এখন ৫০তম স্থানে।
চট্টগ্রামে শেষ দুই ম্যাচে তানজিদের ব্যাটিং ছিল বাংলাদেশের একমাত্র উজ্জ্বল দিক। দ্বিতীয় ম্যাচে তিনটি ছক্কা ও চারটি চারে ৪৮ বলে ৬১ রান করেন তিনি। শেষ ম্যাচে আরও মারকাটারি ইনিংস খেলেন ৬২ বলে ৮৯ রান, যেখানে ছিল চারটি ছক্কা ও নয়টি চার।
অন্যদিকে বোলিংয়ে শেখ মেহেদি শেষ ম্যাচে চার ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। যদিও তানজিম ছিলেন উইকেটশূন্য। রিশাদ দুই ম্যাচে পাঁচ উইকেট নিলেও দুই ধাপ পিছিয়ে এখন ২৬তম স্থানে। নাসুম আহমেদ এক ধাপ নেমে আছেন ৩০তম স্থানে। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ র্যাঙ্কধারী মুস্তাফিজ, যদিও তিনি এখন দ্বাদশ স্থানে নেমে গেছেন।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় আগের মতোই শীর্ষে রয়েছেন ভারতের আভিশেক শার্মা। পাকিস্তানের বাবর আজম ৯ ধাপ এগিয়ে ৩০তম স্থানে উঠে এসেছেন, শুবমান গিলের সঙ্গে যৌথ অবস্থানে। সাইম আইয়ুব ১০ ধাপ এগিয়ে ৩৯তম স্থানে, অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টয়নিস সমান ধাপে এগিয়ে ৫৭তম স্থানে রয়েছেন।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে ভারতের শীর্ষে আছেন ভারুন চক্রবর্তী। অস্ট্রেলিয়ার জশ হেইজেলউড ২ ধাপ এগিয়ে দশম স্থানে, পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি ৩ ধাপ উন্নতি করে ১৩তম স্থানে, আর আফগানিস্তানের মুজিব উর রাহমান ১৩ ধাপ লাফিয়ে এসেছেন তার পরেই।
টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডারদের তালিকায় সাইম আইয়ুব আগের মতোই শীর্ষে রয়েছেন। জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা তিন ধাপ এগিয়ে দ্বিতীয় স্থানে, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোস্টন চেইস ৬ ধাপ অগ্রগতি নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে।










Discussion about this post