বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বাদশ আসর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মাত্র পাঁচটি দল নিয়ে। গুলশানের নাভানা টাওয়ারে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সভার পরই চূড়ান্ত হয়েছে দলগুলোর মালিকানা। অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা ও প্রাতিষ্ঠানিক স্থিতি যাচাই করে পাঁচটি ফ্র্যাঞ্চাইজি নির্বাচনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
সভা শেষে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান জানান, ‘চুলচেরা বিশ্লেষণ করে অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা এবং অন্যান্য দিক বিবেচনা করেই আমরা এই পাঁচটি দল চূড়ান্ত করেছি।’
চূড়ান্ত পাঁচ দল হলো রংপুর রাইডার্স, সিলেট ইউনাইটেড, ঢাকা ক্যাপিটালস, রাজশাহী স্টার ও চট্টগ্রাম। দলগুলোর সঙ্গে বিসিবি আগামী পাঁচ বছরের জন্য চুক্তি করবে। তবে শর্ত অনুযায়ী, আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিতে হবে; তা না হলে তারা আসন্ন প্লেয়ার্স ড্রাফটে অংশ নিতে পারবে না।
নতুন আসরে রংপুরের মালিকানা পেয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন টগি স্পোর্টস। চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা পেয়েছে ট্রায়াঙ্গাল সার্ভিস। নাবিল গ্রুপ পেয়েছে রাজশাহীর, ক্রিকেট উইথ সামি পেয়েছে সিলেটের এবং চ্যাম্পিয়ন স্পোর্টস (রিমার্ক-হারল্যান কনসোর্টিয়াম) পেয়েছে ঢাকার মালিকানা।
এবারের আসরে দল পেতে শুরুতে মোট ১১টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছিল। এর মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করে বিসিবি। প্রাথমিকভাবে বাদ পড়ে চিটাগং কিংস ও দেশ ট্রাভেলস। পরবর্তীতে চূড়ান্ত পর্যায়ে আরও তিনটি প্রতিষ্ঠান-চিটাগং কিংস, মাইন্ড ট্রি খুলনা টাইগার্স ও বাংলা মার্ক-তালিকা থেকে বাদ পড়ে। শেষ পর্যন্ত নির্বাচিত হয় পাঁচটি প্রতিষ্ঠান।
বিসিবির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিপিএলের দ্বাদশ আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭ নভেম্বর। আর টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াবে ১৯ ডিসেম্বর, শেষ হবে ১৬ জানুয়ারি, জাতীয় নির্বাচনের আগেই।










Discussion about this post