দুবাইয়ের গরম সন্ধ্যায় শুরু হলো এশিয়া কাপের সুপার ফোর অভিযান। প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, যারা গ্রুপপর্বে হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে। সেই ম্যাচের তিক্ত স্মৃতি পেছনে ফেলে আজ নতুনভাবে মাঠে নামল লিটন দাসের দল। টসে জিতে এবার ফিল্ডিং বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। টস ভাগ্য যেমন মিলেছে, এবার ফলাফলও কি হবে লাল-সবুজের অনুকূলে?
বাংলাদেশ একাদশে এসেছে দুটি পরিবর্তন। বাদ পড়েছেন উইকেটকিপার-ব্যাটার নুরুল হাসান সোহান ও লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন। তাদের জায়গায় মাঠে নামছেন অফ স্পিনার মেহেদী হাসান ও বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। তবে আলোচনায় থাকা জাকের আলী অনিক কিংবা তাওহীদ হৃদয় জায়গা হারাননি, তারা খেলছেন নিয়মিত একাদশেই।
এই ম্যাচে গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ সুপার ফোর মানেই প্রতিটি ম্যাচ ফাইনালের টিকিটের লড়াই। বাংলাদেশের সামনে তাই লক্ষ্য একটাই—শুরুটা জয়ে রাঙানো। তবে ইতিহাস বলছে চ্যালেঞ্জ কঠিন। দুই দলের ২১ মুখোমুখি লড়াইয়ে ১৩ বার জিতেছে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ৮টিতে। এশিয়া কাপে তো টাইগারদের জয় মাত্র ৩ বার, লঙ্কানদের সাফল্য ১৫ বার। তবু আশার জায়গা আছে-২০১৬ সালের আসরে শ্রীলঙ্কাকে একবার হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
গ্রুপপর্বে চার বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে নামার ভুল আর করতে চায় না দল। তাই এবার বোলিং শক্তিই মূল ভরসা। ব্যাটিংয়ে আস্থা তরুণদের ওপর, বোলিংয়ে দায়িত্ব মুস্তাফিজ-তাসকিন-শরিফুলদের কাঁধে।
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন দাস (অধিনায়ক), তানজিদ তামিম, সাইফ হাসান, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, শামীম হোসেন, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ।
আজ শ্রীলঙ্কার একাদশে পরিবর্তন নেই। আফগানিস্তান ম্যাচ শেষে বাবার মৃত্যু সংবাদ পাওয়া স্পিনার দুনিত ভেল্লালাগেও দলে আছেন।
শ্রীলঙ্কা একাদশ
পাতুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, কামিল মিশারা, কুশল পেরেরা, চারিত আসালাঙ্কা (অধিনায়ক), কামিন্দু মেন্ডিস, দাসুন শানাকা, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দুনিত ভেল্লালাগে, দুষ্মন্ত চামিরা ও নুয়ান তুষারা।
Discussion about this post